Home > অর্থনীতি > তিন মাসের ব্যবধানে চিকন চাল বস্তাপ্রতি বেড়েছে ২৩০ থেকে ৩৫০ টাকা

তিন মাসের ব্যবধানে চিকন চাল বস্তাপ্রতি বেড়েছে ২৩০ থেকে ৩৫০ টাকা

ময়মনসিংহে তিন মাসের ব্যবধানে চিকন চালে প্রকার ভেধে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি বেড়েছে ২৩০ থেকে ৩৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে বেশ কয়েকপ্রকার ডালের দাম। মাসকলাই ডালের কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, খাসির মাংস, মুরগির দাম কমলেও ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে চাষ করা মাছের দাম।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর মেছুয়াবাজারে ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহ চাল আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিধু ভোষণ সাহা রায় বলেন, ইন্ডিয়ান এলসি চালের আমদানী আছে। দেশে ধানের ফলন ভাল হয়েছে। তবে, দাম কমার কোন সম্ভাবনা নাই। কারণ, ধান মজুদ হচ্ছে।

তিনি বলেন, গত অক্টোবর মাস আগে ২৯ চিকন চালের ৫০ কেজির বস্তার দাম ছিল ২৬০০ থেকে ২৭২০ টাকা, এখন সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ২৯৫০ টাকা, মাঝারী চাল (স্বর্ণা, বিআর ৩২ ও ৪৯) একই ভাবে বেড়েছে। মোটা চাল ২২০০ টাকা বস্তা বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রেতা জাকিরুল ইসলাম বলেন, বাজারে শীতের সবজিতে ভরপুর। সবপ্রকার সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে।

তিনি বলেন, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, দেশি নতুন আলু ৪০ টাকা, সিম ৩০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, মটরসুটি ১০০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, বড় বাধাকপি ২০ টাকা পিস, বড় ফুলকপি ২০ টাকা পিস, পেয়াজ পাতা ২০ টাকা, পেপে ২০ টাকা, ছোট লাউ ৩০ টাকা, নতুন হল্যান্ড আলু ১৫ থেকে ২০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, মিস্টি কুমড়া ২৫ টাকা কেজি, কাঁচা কলা ২৫ টাকা হালি, বরবটি ৭০ টাকা, লতা ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, বড় কুমড়া ৪০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।

মাছ মহালের মাছ বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, দেশি মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। আবার চাষ করা মাছের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।

তিনি বলেন, বোয়াল মাছ ৮০০ টাকা, বাইম মাছ ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৯৫০ টাকা, বাতাসি মাছ ৭৫০ টাকা, গুলশা ৭০০ টাকা, নদীর পাবদা ৮০০ টাকা, চাষের পাবদা ৩৫০ টাকা, মলা মাছ ৪০০ টাকা, কাকিলা ৬০০ টাকা, বড় কাতল ৫৫০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, কই মাছ ২৬০ টাকা, টাকি মাছ ৩৫০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ টাকা, ছোট রুই মাছ ২৬০ টাকা, ছোট কারপিও ২৩০ টাকা, সিলভার ২০০ টাকা, রাজপুটি ২২০ টাকা, মাসুল মাছ ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, গ্লাসকার্প ১৮০ টাকা, মৃগেল ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ওই বাজারের সুবেন্দু শাহা বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে পেয়াজের কেজিতে ৪ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুনে ১০ টাকা, রসুনে ২০ টাকা, আদায় ৫ টাকা করে দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, দেশি ও ইন্ডিয়ান পেয়াজ ৩৪ টাকা, রসুন ৯০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১১০ টাকা, আদা ৮০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৮০ টাকা, নতুন হল্যান্ড আলু ১৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আল আমিন স্টোরের বিক্রেতা ফারদিন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কয়েক প্রকার ডালের দাম বেড়েছে।

তিনি বলেন, ক্যাঙ্গারু মসুর ডাল ১০ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা, হাইব্রীড মসুর ডাল ৯০ টাকা, ফাডি মসুর ডাল ৯০ টাকা, মাসকলাই ৫ টাকা কমে ১০৫ টাকা, মাসকলাই ডাল ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা, ছোলা বুট ৮০ টাকা, মটর ৬৫ টাকা, বুটের ডাল ১০০ টাকা, চিনি ১০৮ টাকা, মুগডাল ১০ টাকা কমে ১২০ টাকা, খেসারী ডাল ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, সোনালী মুরগিতে ৪০ টাকা, সাদা কক মুরগিতে ১০ টাকা কমেছে। তিনি বলেন, ব্রয়লার ১৩৫ থেকে ২৪০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৫০ টাকা, সাদা কক ২৩০ টাকা, লেয়ার ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারের আয়োজন মাটন ট্রেডার্সের বিক্রেতা জাফর ইকবাল বলেন, খাসির মাংসের দাম কিছুটা কমলেও স্থিতিশীল আছে গরুর মাংসের দাম। তিনি বলেন, খাসির মাংস ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে ৯৩০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।