মানবদেহের বিভিন্ন স্থানে মাঝে মধ্যে ব্যথা হয়। কখনো কম কখনও বেশি। এ ধরনের ব্যথা বেশিরভাগ সময় কোনো গুরুত্ব দিই না। অথচ এসব ব্যথাই হতে পারে অনেক বড় কোনো সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ।
যে ব্যথার পাশাপাশি থাকে বমি ও বমি ভাব–
বমি ভাব ও পেট ব্যথা একসাথে থাকলে এর পেছনে বেশকিছু কারণ থাকতে পারে। যেমন ইনটেসটিনাল বা বাওয়েল অবস্ট্রাকশন, গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল ইনফেকশন, ইনফ্লামেশন, কিডনি স্টোন, রাপচারড ওভারিয়ান সিস্ট, আলসার এমনকি হার্ট অ্যাটাক! এসব কারণে পেটে ব্যথার সাথে বমি হলে ডাক্তার দেখানোই উচিৎ।
তিন মাস বা তারও বেশি সময় ধরে পেটের ব্যথা থাকলে তা অবশ্যই ডাক্তারকে দেখানো উচিত। এ ধরণের ব্যথার পাশাপাশি থাকতে পারে ডায়ারিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, খাওয়ার পর পেট ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, পেট ফাঁপা ও গ্যাস। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স বা গ্যাস্ট্রোপারেসিস- এসব কারণ থাকতে পারে এর পেছনে। ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো।
যে ব্যথার পাশাপাশি মলে রক্ত যায়–
মুখ বা মলদ্বার দিয়ে যে কোনো ধরণের রক্তপাত হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে। মলের সাথে রক্ত বের হলে যে তা লাল হবে, তা ভাবার কোনো কারণ নেই। তা কালো, আলকাতরার মতো হতে পারে। পাকস্থলীতে রক্তপাত হলে তা এমন কালচে হয়ে যায়। এর কারণ হতে পারে কোলাইটিস, ডাইভার্টিকুলোসিস, হেমোরয়েডস, গ্যাস্ট্রিক আলসার এমনকি ক্যান্সার।
তীব্র ও হঠাৎ দেখা দেওয়া ব্যথা–
তীব্র, অসহনীয় ব্যথা হওয়া মানে, আপনার শরীর বোঝানোর চেষ্টা করছে বড় কোনো সমস্যার কথা। এমনকি ব্যথায় অনেকের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তারা ঝুঁকে যান ও পেট চেপে ধরেন। গলস্টোন বা কিডনি স্টোন, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, আলসার, প্যানক্রিয়াটাইটিস বা বাইল ডাক্ট ব্লকেজের জন্য এই ব্যথা হতে পারে। এমন ব্যথায় দেরি না করে হাসপাতালে যাওয়া উচিত।
ব্যথা ও ওজন কমা–
কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমাটা দুশ্চিন্তার কারণ বই কী। পেট ব্যথা ও সেই সাথে ওজন কমতে থাকলে তা ক্যান্সার, ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস বা ক্রন’স ডিজিজের লক্ষণ হতে পারে।
ব্যথা ও জ্বর–
পেটে ব্যথা ও তার পাশাপাশি গায়ে জ্বর থাকলে তা শরীরে ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তার দেখান।