Home > শিক্ষা > কুয়েট শিক্ষক হত্যা: ছাত্রলীগ নেতাসহ আজীবন বহিষ্কার ৪
কুয়েট শিক্ষক হত্যা: ছাত্রলীগ নেতাসহ আজীবন বহিষ্কার ৪

কুয়েট শিক্ষক হত্যা: ছাত্রলীগ নেতাসহ আজীবন বহিষ্কার ৪

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সিজানসহ ৪ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও তথ্য শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ নয় শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে কুয়েট কর্তৃপক্ষ। সিজান ছাড়াও বহিষ্কৃত অন্যরা হলেন সিই বিভাগের শিক্ষার্থী তাহামিদুল হক ইশরাক, একই বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, এলই বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব, একই বিভাগের শিক্ষার্থী আ স ম রাগিব আহসান মুন্না, এমই বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান, একই বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ রিফাত, সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজ খান নিলয় ও এমএসই বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান অন্তু।

গত ৩০ নভেম্বর কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তার কক্ষে প্রবেশ ও পরে কক্ষ থেকে বের হওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ২০/২২ জনের একদল শিক্ষার্থী শিক্ষক সেলিম হোসেনকে ক্যাম্পাসে গতিরোধ করেন এবং এক পর্যায়ে ড. সেলিমের কক্ষে প্রবেশ করেন। সিসিটিভির ফুটেজ অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রায় ৪৫ মিনিট তারা শিক্ষক সেলিম হোসেনের কক্ষে অবস্থান করেন।

কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান, মূলত লালন শাহ হলের নতুন ডাইনিং ম্যানেজার নিয়োগকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ওই অংশটি প্রভাব খাটিয়ে হলের প্রভোস্ট সেলিম হোসেনকে নাজেহাল করে। এ অবস্থায় সেখানেই তিনি মাইনর স্ট্রোক করেন। পরে বাসায় যাবার পর অসুস্থ হয়ে বাথরুমে পড়ে যান। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে কুয়েট মেডিকেল সেন্টার ও পরে নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেয়ার পথে মারা যান।

ঘটনার দিন রাতে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। শিক্ষকের সাথে যারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে তাদের শাস্তির দাবি করেছে। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে শান্ত হন শিক্ষার্থীরা।