Home > অর্থনীতি > বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০০ বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রামের স্থান ৫৮তম

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০০ বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রামের স্থান ৫৮তম

নানা সীমাবদ্ধতা স্বত্বেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এগিয়ে থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০০ বন্দরের মধ্যে ৫৮তম স্থানে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম বন্দর।

আন্তর্জাতিক শিপিং জার্নাল লয়েড’স লিস্টে এক দশকে ৪১ ধাপ এগুনোর পাশাপাশি একবছরে এগিয়েছে ছয় ধাপ। তবে সংকট থাকা স্বত্বেও সক্ষমতা বাড়িয়ে আগামী তিন বছরের মধ্যে তালিকার ৫০ নম্বরে আসতে চায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সীমিত যন্ত্রপাতি এবং সীমাহীন সংকটের মাঝেও বিশ্বের অত্যাধুনিক সব বন্দরের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলতে হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরকে।

শনিবার রাতে প্রকাশিত লয়েড লিস্টের সর্বশেষ তালিকায় এ বন্দর গত বছরের তুলনায় ছয় ধাপ এগিয়েছে। একযুগ আগে ২০০৯ সালে ৯৮তম স্থান নিয়ে তালিকায় ঢুকেছিলো চট্টগ্রাম বন্দর।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, দেশের আমদানি রপ্তানি বৃদ্ধি, ইকোনোমেনিক এস্টাবেটিভি ও ইয়ার্ড ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা, সেই সাথে নতুন স্থাপনা ও সুবিধা বৃদ্ধি করা, এগুলো কারণে ধাপটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

অথচ এক দশক আগেও রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি শ্রমিক আন্দোলনের কারণে বিশ্বের অন্যতম সমস্যা সংক্রান্ত বন্দরের তালিকায় নাম ছিলো চট্টগ্রাম বন্দরের। তবে সে দুর্নাম কাটিয়ে প্রতি বছরই ৫ থেকে ৭ ধাপে এগুচ্ছে বন্দরটি

আগামী ৩ বছরের মধ্যে লয়েড লিস্টে চট্টগ্রাম বন্দরের নাম ৫০ নম্বরে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, আমাদের ম্যানেজমেন্ট শ্রমিক-বান্ধব। আমাদের যন্ত্রপাতিগুলোকে পরিবর্তন করার জন্য যুতসুই ও দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করি।

২০১৯-২০ অর্থ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের বিগত অর্থ বছরের তুলনায় সার্বিক প্রবৃদ্ধি ছিলো ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু তারপরও বন্দর ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, এখনো বন্দরে যন্ত্রপাতির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ইয়ার্ডের সংকট রয়ে গেছে।

পি আই এল বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জহির বলেন, বন্দরে ইয়ার্ড বাড়ানো, জেটি বাড়ানো এবং ইকুপমেন্ট বাড়ানো এই তিনটা সেক্টরে আমরা কাজ করতে পারি তাহলে আমাদের ক্যাপাসিটি অনেক বেড়ে যাবে।

গত অর্থ বছরে ১০ কোটি ১৬ লাখ মেট্রিক টন কার্গো পণ্য এবং ৩০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে এ বন্দর। আর বন্দরে পণ্য নিয়ে এসেছে ৩ হাজার ৭৬৪টি জাহাজ।