Home > শিক্ষা > প্রাথমিকের অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষকদের জন্য দুঃসংবাদ!

প্রাথমিকের অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষকদের জন্য দুঃসংবাদ!

মহামারি করোনার ভাইরাসের মধ্যে প্রাথমিকের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষককে গৃহীত টাইম স্কেল ফেরত দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও এসব শিক্ষকদের ভবিষ্যতে পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ারও পথও খুলে দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, পৌনে আট বছরেও নানা জটিলতা থেকে মুক্তি পাননি জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বরং এক জটিলতা দূর হলে আটকে পড়েন আরেকটিতে। আইন ও বিধির অপব্যাখ্যা দিয়ে ইতোমধ্যে এসব শিক্ষককে বঞ্চিত করা হয়েছে জ্যেষ্ঠতা থেকে। এর ধারাবাহিকতায় তাদের দেয়া হয়নি প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব। সর্বশেষ হাত দেয়া হয়েছে এসব শিক্ষকের আর্থিক সুবিধায়।

জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, ‘কিছু অসাধু কর্মকর্তার লোভের বলি হচ্ছেন তারা। ২০১৭ সালে দেশের বিভিন্ন সরকারি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। তখন জাতীয়করণকৃত স্কুলের শিক্ষকদের এই চলতি দায়িত্ব প্রদান থেকে বঞ্চিত করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তারের (ডিপিই) ওই অসাধু কর্মকর্তারা জ্যেষ্ঠতার তালিকায় রাখেননি। এর সূত্র ধরে উপজেলা পর্যায়ের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তারা এসব শিক্ষকের টাইম স্কেল প্রাপ্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেননা বেসরকারি চাকরিজীবনের অভিজ্ঞতা (অধ্যাদেশের ভাষায় কার্যকর চাকরিকাল) ধরেই দেয়া হয় টাইম স্কেল।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি মূল মন্ত্রণালয়ই অভিজ্ঞতা বাদ দিয়ে জ্যেষ্ঠতার তালিকা করতে পারে, তাহলে টাইম স্কেল গ্রহণটা অবৈধ বলা অযৌক্তিক নয়। অথচ ২০১৩ সালের জাতীয়করণ অধ্যাদেশের ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী শিক্ষকরা কার্যকর চাকরিকাল, জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি এবং টাইম স্কেল সবই পাবেন। এটা অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ ও চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক পদায়নের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। লক্ষাধিক শিক্ষক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা কর্তৃক বারবার আইন ও বিধির অপব্যাখ্যা ও ভুল ব্যাখ্যার শিকার হচ্ছেন।’

এসব বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের কিছু সমস্যা তিনি দায়িত্ব গ্রহণের আগেই সৃষ্টি হয়েছে। সমাধানে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন তিনি। আইন ও বিধিবিধান পর্যালোচনা করে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে।