Home > 'কোভিড-১৯' সর্বশেষ আপডেট > রেমডিসিভির রপ্তানি শুরু করেছে বাংলাদেশ

রেমডিসিভির রপ্তানি শুরু করেছে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের জন্য রেমডিসিভির ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। গবেষণায় ‘কার্যকর’ প্রমাণ হওয়ার পরই এই অনুমোদন দেওয়া হয়। হাতে গোনা কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশেও ওষুধটি উৎপাদন হচ্ছে। এবার সেই রেমিডিসিভিরের রপ্তানি শুরু করেছে দেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বিপিএল)। ইঞ্জেকশন আকারে প্রস্তুতকৃত বেমসিভির নামে এই ওষুধ বিশ্বের বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রে পৌঁছাবে কোম্পানিটি।

রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম, আজারবাইজান, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং ভেনিজুয়েলা।

জানা যায়, প্রস্তুতকৃত প্রতিটি ইঞ্জেকশনের মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকার মধ্যে। একজন করোনা রোগীকে গড়ে ৬ থেকে ১১টি ইঞ্জেকশন দিতে হয়।

রেমিডিসিভির মূলত তৈরি করে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি গিলিয়াড সায়েন্সেস। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ অধিদপ্তর এর অনুমোদন দেয়ার পরই বেক্সিমকো এর উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ওপর প্রথম ‘কার্যকর’ ওষুধ এটি।

বিপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ও অন্যান্য রাষ্ট্রে করোনা রোগীদের কাছে রেমিডিসিভির পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরাই প্রথম রেমিডিসিভিরের সমগোত্রীয় কোনো ওষুধ প্রস্তুত করেছি। আমাদের মূল লক্ষ্য এই ওষুধ নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সরবরাহ করা। যা বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক হবে।

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় এই রেমিডিসিভির ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করছে বেক্সিমকো। এছাড়া তারা রোগীদের চিকিৎসায় সম্ভাব্য অন্যান্য ওষুধের ওপরও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে।