Home > শিক্ষা > ছাত্রদের পাস করিয়ে দেবার জন্য টাকা হাতিয়ে নেন শিক্ষক!

ছাত্রদের পাস করিয়ে দেবার জন্য টাকা হাতিয়ে নেন শিক্ষক!

গলাচিপার চর কাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রকে পাস করিয়ে দেবার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। চর কাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সদ্য ফল প্রাপ্ত ৭জন ছাত্র সাংবাদিকদের নিকট এ অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন, চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন খন্ডকালীন ইংরেজি শিক্ষক মো. শাখাওয়াত হোসেন (বাবু)। বর্তমানে ডাকুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, মো. শাখাওয়াত হোসেন (বাবু) চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মো.সাকায়েত,
মো.মিরান, মো.আরিফুল ইসলাম, মো.মাসুম বিল্লাহ, মো.রাকিব, জাহিদুল, নাজমুল হাং এর নিকট থেকে তাদের কাঙ্খিত ফল পাইয়ে দেবার জন্য নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে মোট লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ছাত্ররা তাদের কাঙ্খিত ফল পায়নি এবং রাকিব ও জাহিদুল ফেল করে।

ছাত্ররা পরীক্ষার শেষে বিদ্যুতের এবং গার্মেন্টেসের কাজ করে টাকা সংগ্রহ করে বলে জানায়। তারা শাখাওয়াত হোসেনের নিকট টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন রকম তালবাহানার মাধ্যমে কাল ক্ষেপণ করে বলে অভিযোগ থেকে জানা যায়।

এ ছাড়া অভিভাবক হাজী মো.মিলন হাওলাদার চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, আমার ছেলে আবু হাসনাত রাব্বিকে
এসএসসিতে জিপিএ ৫ পাইয়ে দেবার কথা বলে নগদ ৩০,০০০/-এবং বিভিন্ন সময় মাছের আরৎ থেকে বাকিতে মাছ ক্রয় বাবদ ৪০,০০০/-টাকা নেয়।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শাখাওয়াত হোসেন চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। ৩ বছর আগে এখান থেকে চলে গেছেন। পাস করিয়ে দেবার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে আমার জানা নাই।শাখাওয়াত হোসেনকে এ বিষয়ে জানার জন্য বিভিন্ন সময় ফোন করলে ও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

শাখাওয়াতের বর্তমান কর্মরত প্রতিষ্ঠান ডাকুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর কর্মকার জানান, শাখাওয়াত ২০১৭ সালে ডাকুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে
অফিস সহকারী পদে যোগদান করে। সেপ্টেম্বর/২০১৯ থেকে তার এমপিও স্থগিত করা হয়েছে এবং তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে পূর্ণ বরখাস্ত করার
প্রক্রিয়াও চলমান।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.গোলাম মোস্তফা বলেন, এ বিষয় সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে বিধিমোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।