Home > স্বাস্থ্য > বাচ্চাকে মুরগীর কলিজা খাওয়ানো মানেই বিষ খাওয়ানো!

বাচ্চাকে মুরগীর কলিজা খাওয়ানো মানেই বিষ খাওয়ানো!

কলিজা খাওয়ানো মানেই- কলিজা বাচ্চার জন্য উপকারী বিধায় বেশিরভাগ মায়েরাই বাচ্চাকে কলিজা খাইয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে কলিজা খাওয়ানো আর বি’ষের বোতল খাওয়ানো একই সমান হয়ে গেছে।

বাজার থেকে কেনা কক আর ফার্মের- ২ ধরনের মুরিগীকেই যে ট্যানারির বর্জ্য থেকে তৈরিকৃত খাদ্য খাওয়ানো হয়, তাতে মানবদে’হের জন্য ক্ষ’তিকর বি’ষাক্ত ক্রো’মিয়াম থাকে।

কলিজা হলো দে’হের শোধনাগার। তাই কলিজা, মুরগীকে বাচানোর জন্য বেশিরভাগ ক্রোমিয়াম সংগ্রহ করে নিজের মধ্যে জমিয়ে রাখে।

সাম্প্রতিক কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. আবুল হোসেনের গবেষনায় দেখা গেছে মুরগীর দে’হের মধ্যে কলিজাতে ৬১২ মাইক্রোগাম ক্রোমিয়াম জমে (যেখানে ক্রোমিয়াম খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হলো ৩৫ মাইক্রোগাম)।

তবে প্রথম ও দ্বীতিয় স্থানে আছে মগজ (৪৫২০ মাইক্রোগ্রাম) ও হাড় (২০০০ মাইক্রোগ্রাম)। আর সবচেয়ে কম আছে মাং’সে, তবে সেটাও নিরাপদ মাত্রায় না। তাই কলিজা,’মগজ আর হাড়ের সুপ খাওয়ানোর সময় অবশ্যই আরেকবার ভাবা উচিত। খাওয়াতে চাইলে একদম ঘরে পালা মুরগী অথবা গরু/খাসীর কলিজা খাওয়ানো উচিত।

আর স্যুপ খাওয়াতে চাইলে, বাচ্চা মুরগীর খাওয়ানো উচিত, কারণ তাতে ক্রোমিয়াম কম জমা থাকে (বয়সের সাথে সাথে জমা’র পরিমাণ বাড়ে) ক্রোমিয়াম এর ধারণা টা নতুন, তাই এটা নিয়ে কেউ ভাবেনা।

আপনাকে যদি ১ গ্লাস পানি দিয়ে বলা হয় এতে আ’র্সেনিক আছে, অথবা ফল দিয়ে বলা হয় এটা এই মাত্র ফর’মালিন এ চুবিয়ে আনা হয়েছে, আপনি কি বাচ্চাকে খাওয়াবেন? না।

কারণ ফরমালিন আর আর্সেনিক স’ম্পর্কে আম’রা শুনে এসেছি এবং জানি। তাই ঘরে ঘরে রো’গাক্রা’ন্ত মানুষ দেখার আগেই আমাদের ক্রোমিয়াম স’ম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।

সকালে খালি পেটে এগুলো খাওয়া কখনই উচিৎ নয়

সকালের প্রথম খাবারটি আমাদেরকে সারাদিন সুস্থ ও শক্তিশালী রাখে। আপনি যদি এমন কিছু খান যা খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়, তবে আপনার অ’ঙ্গগুলি আ’ক্রান্ত হতে পারে। পুষ্টিবিদ রূপালী দত্ত এনডিটিভির সাথে কথা বলার সময় খালি পেটে কী কী খাওয়া উচিত তা বলেছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে, সকালে উঠার কমপক্ষে ২ ঘন্টা পরে আপনার প্রাতঃরাশ করা উচিত।

আসুন জেনে নেই সকালে খালি পেটে কী কী খাবেন না।

মশলাদার খাবার

খালি পেটে মশলা এবং মরিচ খাওয়ার ফলে পেটের আস্তরণের অ্যাসিডিক প্রতিক্রিয়া এবং ক্র্যাম্পের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এগুলি হজমেও প্রভাব ফেলে যা অ্যাসিডিটির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

চিনিযুক্ত পানীয়

চিনিযুক্ত পানীয় বা খাবারগুলিতে উচ্চ পরিমাণে ফ্রুকটোজ থাকে, যা লিভারের উপর আরও চাপ তৈরি করতে পারে। এছাড়াও, এটি অগ্ন্যা’শয়কেও প্রভাবিত করে। প্রক্রিয়াজাত চিনিযুক্ত যে কোন কিছুই খালি পেটে খাওয়া উচিৎ নয়।

সাইট্রাস ফল

খালি পেটে সিট্রাস ফল খাওয়ার ফলে অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়তে পারে। ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ফ্রুকটোজ থাকে যা খালি পেটে খেলে আপনার হজম ব্যবস্থা ধীর করতে পারে। আপনার বিশেষত সকালে, পেয়ারা এবং কমলা জাতীয় ফাইবার সমৃদ্ধ ফল খাওয়া উচিত নয়।

কাঁচা শাকসবজি

খালি পেটে কাঁচা শাকসবজি বা সালাদ খাওয়া ভাল জিনিস নয়। এগুলিতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে যা খালি পেটে অতিরিক্ত চাপ দিতে পারে। খালি পেট খেলে পেট ফাঁপা বা পেটের ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে।

কফি

এক কাপ কফি দিয়ে দিন শুরু করা খুব সাধারণ বিষয়। ঘুম ভাঙার এটি সহজ পদ্ধতির মতো বলে মনে হচ্ছে তবে খালি পেটে কফি পান করা অম্লতা হতে পারে। এটি হজম সিস্টেমে হাইড্রোক্লোরিক অ্যা’সিডের নিঃসরণকে প্রভাবিত করে যা কিছু লোকের মধ্যে গ্যাস্ট্রাইটিস সৃষ্টি করে।