Home > অন্যান্য > ফিচার > কুরবানির মাংস সবার সাথে ভাগ করে নেওয়া হোক ঝামেলামুক্ত

কুরবানির মাংস সবার সাথে ভাগ করে নেওয়া হোক ঝামেলামুক্ত

বছর ঘুরে আবার চলে এসেছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। পরম করুণাময়ের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে, ত্যাগের মহিমা প্রচার করতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতি বছরের মতো এবারও পশু কুরবানি দেবেন। কুরবানির মাংস গরীব-দুঃস্থ, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে ভাগ করে নেওয়াও এই ঈদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি না থাকলে মাংস নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাওয়াটা একটা ঝক্কির ব্যাপারই বটে। একে তো মাংসের প্যাকেট হাতে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ি খোঁজাটা কষ্টকর, তার ওপর ঈদের দিনে রাস্তায় গাড়ি পাওয়াটাই সমস্যা। এমন সময়ে প্রয়োজন নির্ভরযোগ্য কোনো যাতায়াতের মাধ্যম।

উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো হতে পারে এই সমস্যার সহজ সমাধান। দিন-রাতের ২৪ ঘণ্টা যেকোনো জায়গা থেকে বুক করা যায় বলে এসব সার্ভিস বেশ সুবিধাজনক। আপনি যদি একা, অল্প কিছু মাংস নিয়ে বের হন, তাহলে বেছে নিতে পারেন মটো সার্ভিস। দুই-তিনজন মিলে বের হলে আপনার জন্য আছে সিএনজি সার্ভিস। পরিবারের সকলে মিলে স্বস্তির সাথে কোথাও যেতে চাইলে এক্স, এক্সএল বা প্রিমিয়ারের মতো সার্ভিসগুলোও আছে। এছাড়া, আপনি যদি একাধিক বাড়িতে মাংস নিয়ে যেতে চান, রেন্টাল সার্ভিসটি হবে আপনার জন্য যথার্থ। আপনি আত্মীয়দের বাড়ি গিয়ে, মাংসের প্যাকেট তাদের হাতে বুঝিয়ে দিয়ে, গল্পগুজব করতে থাকার সময় এই গাড়িটি ব্যক্তিগত গাড়ির মতোই আপনার জন্য অপেক্ষা করে থাকবে।

রাইডশেয়ারিং সার্ভিস ব্যবহার করলে নিরাপত্তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় না। এই ট্রিপগুলো সার্বক্ষণিক জিপিএসের আওতায় থাকে, তাই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়। প্রিয়জনদের সাথে লাইভ লোকেশন শেয়ার করা, ‘সেইফটি টুলকিট,’ ২৪/৭ হটলাইনসহ আরো নানা সুবিধা আছে এসব অ্যাপে।

ঈদ-উল-আযহা আমাদের ত্যাগের শিক্ষা দেয়, নিজেদের নেতিবাচক দিকগুলো বর্জন করার শিক্ষা দেয়। এর প্রভাবেই আমরা সবার সাথে কুরবানির পশুর মাংস ভাগ করে নিতে চাই। সবার সাথে মাংস বা অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে ত্যাগের মহিমা প্রচারের এই আয়োজনে, এবারের ঈদে রাইডশেয়ারিং অ্যাপকে করে তুলুন আপনার সঙ্গী।