মুদ্রানীতি ইস্যুতে সাইডলাইনে রয়েছেন বড় বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ব্যাংক আগামীকাল ঘোষণা করবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর’১৮) মুদ্রানীতি। পোর্টফলিও ম্যানেজাররা মুদ্রানীতির অপেক্ষায় বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন।
মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে- এ আশঙ্কায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সার্বিক লেনদেন চিত্রে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। আজ লেনদেনের শুরুতে উত্থান থাকলেও ১ঘন্টা ১০ মিনিট পর সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় টানা পাঁচ কার্যদিবস ধরে সূচকের পতন হচ্ছে। অন্যদিকে, হাজার কোটি টাকার লেনদেন এখন ৬০০ কোটির ঘরে নেমে এসেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজ দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫২৬২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৪০ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮৭১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ২০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৬১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫২৮০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১২৪৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৮৭৮ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৫৭৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩৭ কোটি ২২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ৩৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ৮০৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৫টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।