Home > শেয়ার বাজার > পাঁচ কোম্পানির বিষয়ে ডিএসইর সতর্ক বার্তা

পাঁচ কোম্পানির বিষয়ে ডিএসইর সতর্ক বার্তা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে বলে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে সতর্ক বার্তা প্রকাশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কোম্পানি পাঁচটি হলো- মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, সায়হাম টেক্সটাইল এবং ড্রাগন সোয়েটার।

গ্রতিষ্ঠানগুলো পক্ষ থেকে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে মঙ্গলবার ডিএসই থেকে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

এর মধ্যে মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক এবং মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ পাঁচ বছর ধরে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দিচ্ছে না। যে কারণে তারা তালিকাচ্যুত হতে পারে। এ লক্ষ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ২০১৫ সালের লিস্টিং রুলসের ৫১(১)(এ) ধারা অনুযায়ী এই দুই কোম্পানির পারফর্মেন্স রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

ডিএসই জানিয়েছে, এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে ৬ আগস্ট নোটিশ পাঠানো হয়। জবাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ বিষয়ে তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক : গত ১ আগস্ট থেকে মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের শেয়ারের দাম টানা বাড়ছে। ১ আগস্ট কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১৩ টাকা ৬০ পয়সা, যা তিন কার্যদিবসের ব্যবধানে ৬ আগস্ট লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৯০ পয়সায়। অর্থাৎ তিন কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪ টাকা ৩০ পয়সা। এর প্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয়।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে এবং বাকি ৫০ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারছে না। মুনাফার দেখা না পেয়ে লোকসানের মধ্যে নিমজ্জিত এই কোম্পানির ব্যবসায়ীক কর্যক্রম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে ডিএসই।

মেঘনা পেট : তালিকাচ্যুতের শঙ্কায় থাকা এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১ আগস্ট থেকে টানা বাড়ছে। ১ আগস্ট কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১১ টাকা ৭০ পয়সা, যা টানা বেড়ে ৬ আগস্ট লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ১৫ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ তিন কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩ টাকা ৭০ পয়সা। এর প্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয়।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪০ দশমিক ১৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে এবং বাকি ৫৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ারে রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। এ প্রতিষ্ঠানটিও দীর্ঘদিন ধরে মুনাফার দেখা না পেয়ে লোকসানের মধ্যে নিমজ্জিত রয়েছে।

তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ : গত ৩০ জুলাই থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম টানা বাড়ছে। ৩০ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২০ টাকা ৯০ পয়সা, যা টানা বেড়ে ৬ আগস্ট লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ২৫ টাকা ৮০ পয়সায়। এর প্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয়।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২২ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার।

সায়হাম টেক্সটাইল : গত ২৩ জুলাই থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ছে। ২৩ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২২ টাকা ১০ পয়সা, যা টানা বেড়ে ৬ আগস্ট লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ৩১ টাকা ৬০ পয়সায়। এর প্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয়।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৩ দশমিক ৭০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৩৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার।

ড্রাগন সোয়েটার : এক মাস ধরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ছে। গত ৮ আগস্ট কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩০ টাকা ৯০ পয়সা, যা অনেকটা টানা বেড়ে ৫ আগস্ট লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ৫০ টাকা ৩০ পয়সায়। এর প্রেক্ষিতেই ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠানো হয়।

কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৭ দশমিক ৮২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৩১ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩০ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার।