উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা ঈদ সালামি দেয়ার ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে তার বাসভবন অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনের ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ’ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিক্ষোভ, সমাবেশ, উপাচার্যবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান ও ব্যঙ্গাত্মক গান পরিবেশন করেন তারা।
উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন।
তিনি বলেন, উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’র শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই অবরোধ শুরু করেছেন। আর উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে।
অবরোধ চলাকালে আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছাত্র ফ্রন্টের জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, উপাচার্য ছাত্রলীগের এক নেতাকে ২৫ লাখ টাকা ঈদ সালামি দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন। এই দুর্নীতিবাজ উপাচার্যকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আর দেখতে চাই না। এখন যদি তাকে বাসা থেকে বের হতে হয় তাহলে আমাদের ওপর দিয়ে মাড়িয়ে বের হতে হবে। আর তিনি যখন এখান থেকে বের হবেন তখন তিনি আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকবেন না।
নিরাপত্তার স্বার্থে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রক্টরিয়াল বডি, নিরাপত্তা শাখা ও আশুলিয়া থানা পুলিশের প্রায় ৩০ জন সদস্যকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা সেখানে অবস্থান করেছেন।
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা ঈদ সালামি দেয়ার অভিযোগ ওঠে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে দুর্নীতির এই অভিযোগের তদন্ত ও পরবর্তীতে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে প্রায় তিন মাস ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশের সম্মিলিত সংগঠন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’।