সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে সমালোচনা করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অনেক সময় তার লাইভের পর সেসব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। যার প্রমাণ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ পেয়েছেন। সেই সুমনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ।
গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) সিলেটের ওসমানীনগরে সাদীপুর ইউনিয়ন এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর একটি বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে রাখা নিয়ে লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সুমন। তার নিজস্ব পেজে ভিডিওটি এখনও আছে। তবে যে ভিডিও নিয়ে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে, তা অন্যরকম। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন স্থানীয়কে নিয়ে খুঁটিটি রাস্তার মধ্যে নিয়ে এসেছিলেন সুমন। আবার সড়কের পাশে সেটি ঠেলে পাঠিয়ে সমালোচনা শুরু করেন.এই ভিডিওটি নিয়ে ফেসবুকে ট্রল হচ্ছে, হচ্ছে ব্যাপক সমালোচনাও। তবে আসল ঘটনা তা নয়। বিদ্যুতের ওই খুঁটিটি সত্যই রাস্তায় চলে এসেছিল, এবং সুমন লোকগুলোকে নিয়ে সড়কে থাকা খুঁটি সরিয়ে দেন।
লাইভে তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস দেখাই চাই, বিবেক কতটা নিচে নামলে আমরা এই রকম। এটা হচ্ছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। আর হয়ত ২০ থেকে ৪০ কি.মি দূরে এগিয়ে গেলে সিলেট পাবেন। আমি এখন যে জায়গাটিতে দাঁড়িয়ে সেটি হচ্ছে ওসমানীনগরে সাদীপুর ইউনিয়ন। আমি আপনাদের একটা মজার জিনিস দেখাতে চাই, দেখেন, মহাসড়কের মধ্যে যেখানে শত শত গাড়ি চলাচল করছে; এরা পল্লী বিদ্যুতের এই পিলারটিকে আনতে আনতে কোথায় নিয়ে এসেছে। একটি খুঁটি সড়কের পাশ থেকে প্রায় চারফুট ভেতরে রাখা হয়েছে। মানুষের বিবেক নেমে গেলে কোথায় যেতে পারে? এখানে না আছে ট্রাফিক পুলিশ, না আছে হাইওয়ে ট্রাফিক, না আছে স্থানীয় পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। এটা (খুঁটি) একটা অ্যক্সিডেন্টের (দুর্ঘটনা) জন্য যথেষ্ট।’লাইভে ব্যারিস্টার সুমন ওসমানীনগর নেতাদের ও প্রশাসনসহ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। যাতে ভবিষ্যতে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ না করেন। তিনি বলেন, এই খুঁটি এখানে থাকলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পরে পাশে থাকা লোকজনকে নিয়ে তিনি খুঁটিটি রাস্তার পাশে অন্য খুটিগুলোর সঙ্গে রেখে দেন।
আসল ভিডিওটি দেখুন:
তবে ফেসবুকে ট্রলের যে ভিডিওটি চলছে, তা পুরোটাই কারসাজি। ব্যারিস্টার সুমনের আসল ভিডিওকে উল্টো করে সম্পাদন করে ভিডিওটি ফেসবুকে ছাড়া হয়েছে। যে কারণে অনেকেই মনে করছেন, সুমন লোকজন নিয়ে ওই খুঁটিটি ঠেলে সড়কের মাঝে এনে তারপর জনভোগান্তির অভিযোগে ভিডিও করেছেন।
একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, মূল ভিডিওর ৪০ সেকেন্ডের পরে দেখা যাবে লাল রঙের বাসটি সড়কে দাঁড়ানো সুমনদের পেছন দিক থেকে এসে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এডিট করা ভিডিওর ৫ম সেকেন্ড দেখা যাচ্ছে, বাসটি ব্যাক গিয়ারে আসছে। বিডিফ্যাক্ট চেক নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ ট্রলের বিষয়টি অনলাইনে তুলে ধরে জানায়, প্রকৃতপক্ষে ক্লিপটি সুমনের পেজে আপলোড করা মূল ভিডিও থেকে কেটে এডিট করে রিভার্স করা হয়েছে।
ট্রলের জন্য বানানো ভিডিওটি দেখুন: