Home > জাতীয় > চিকিৎসাধীন খোকার খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

চিকিৎসাধীন খোকার খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিউইয়র্কে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা বিএনপি নেতা ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

এদিকে আইনগত বাধা থাকলেও তিনি যেন নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে পারেন এ জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে মেমোরিয়াল স্লোন ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে দেখতে যান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান।

এ সময় তিনি জানান, সাদেক হোসেন খোকার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মানবিক বিবেচনায় খোকার দেশের ফেরার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে রবিবার দুপুরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাদেক হোসেন খোকার পরিবারকে ট্রাভেল পারমিটে আবেদন করার পরামর্শ দেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লেখেন, নিউইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার পরিবার ‘ট্রাভেল পারমিটের’ জন্য আবেদন করলে আমাদের মিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লিখেন, ‘তিনি (খোকা) এবং তার স্ত্রীর যেহেতু পাসপোর্ট নেই সেহেতু আন্তর্জাতিকভাবে অন্য দেশ থেকে নিজের দেশে ফেরার এটাই একমাত্র ব্যবস্থা। আমি আমাদের নিউইয়র্কের কনসুলেটে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, সাদেক হোসেন খোকা এবং তার স্ত্রীর নামে মামলা আছে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানাও থাকতে পারে (আমি নিশ্চিত নই)। কিন্তু মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলে যা জেনেছি, তাদের আগমনের পর বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হবে।

প্রসঙ্গত, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা গেল কয়েকদিন ধরেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সংকটাপন্ন অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন খোকার শারীরিক অবস্থা পরিবর্তনের আশা ছেড়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তারা খোকার সব চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছেন।

অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র ও মুক্তিযোদ্ধা খোকার জীবনের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে দেশে নেওয়াও পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। পাসপোর্ট না থাকায় দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি। পরবর্তী সময়ে কী হবে, এ নিয়ে স্বজনেরা বিভ্রান্তিতে আছেন।