Home > খেলাধুলা > ছেলেকে জয় উৎসর্গ করে মজার তথ্য প্রকাশ করলেন মুশফিক

ছেলেকে জয় উৎসর্গ করে মজার তথ্য প্রকাশ করলেন মুশফিক

মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ বাংলাদেশের ক্রিকেটে একজনই, তিনি মুশফিকুর রহিম। দলের বিপদের জন্য বাইশগজে গিয়ে মুশফিক হয়ে যান নির্ভরতার প্রতীক। দেশের ক্রিকেটে ভীষণ দুঃসময়ে এসেছে বলে জয়টি দারুণ স্মরণীয়ও।দুর্দান্ত এই ইনিংসে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার পর মুশফিক বলেছেন, হাজার হাজার দর্শকের সামনে আমরা খেলছিলাম, এটা অবশ্যই বিশেষ অনুভূতির। জয়ের পর তাই মুশফিকের মনে পড়েছে প্রিয় সন্তানের কথা। এই কথা বলে মুশফিক উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে মজার কথাও প্রকাশ করেন।

রোববার (৩ নভেম্বর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের দেওয়া ১৪৯ রানের জয়ের লক্ষ্য ৩ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় টাইগাররা। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষ মুহূর্তের চাপে ভারতের কাছে হারের যন্ত্রণা হয়তো কিছুটা হলেও দূর করতে পেরেছেন মুশফিকুর রহিম।

তিনি বলেন, এই জয়, এই ইনিংস আমি আমার ছেলে মায়ানকে উৎসর্গ করতে চাই। ওকে অনেক মিস করি আমি। ও খুব দ্রুত বেড়ে উঠছে, টিভিতে আমার ছবি দেখে চিনতে পারে, এটা কে।এটা আসলেই বেশ আনন্দের। আমি এই ফিফটি ও এই জয় ওকে উৎসর্গ করতে চাই।

এই ম্যাচ নিয়েও কথা বলেন মুশফিক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার কাছে শোকরিয়া। আপনি যেটা বললেন আসলেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অন্যতম একটি মুহুর্ত, কারণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আমরা এমনিতেই পিছিয়ে। আর যেটা বললেন, আমরা আমাদের সেরা দুজন খেলোয়াড়কে ছাড়া খেলেছি; তবে দলের তরুণরা বিশেষ করে বোলাররা ভারতের মত দলের বিপক্ষে যেভাবে বল করেছে সত্যি অসাধারণ। মূলত তারাই আমাদের খেলায় রেখেছে।

৩৯ রানে জীবন পাওয়া মুশফিক ১৯তম ওভারের শেষ চার বলে টানা ৪ মারেন মুশফিক। তাতেই ম্যাচ হাতের মুঠোয় চলে আসে সফরকারীদের। ৪৩ বলে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে হন ম্যাচসেরাও।

তৃতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে মুশফিকের ৫৫ বলে ৬০ রানের জুটি বাংলাদেশকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখে। ৩২ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান বলেছেন, সৌম্যর সঙ্গে আমার কথা হচ্ছিল। ম্যাচকে বেশ এগিয়ে নেওয়ার চিন্তা আমরা করেছিলাম। সৌভাগ্যবশত অনেক ওভার খেলতে পেরেছি। তবে সৌম্য সত্যিই তার অবদান ভালোভাবে রেখেছে।

ম্যাচ শেষে মুশফিকের কণ্ঠে তাই সৌম্য ও নাঈমের প্রশংসা, অনেক দর্শকের সামনে খেলছিলাম, তাই বিশেষ কিছু অনুভব করছিলাম। আমি আর সৌম্য আলোচনা করেছিলাম, খেলাটা শেষের দিকে নিয়ে যাওয়ার। ভাগ্যক্রমে আমরা অনেক রানের একটি ওভার পেয়েছি। সৌম্য তার দায়িত্বটা খুব ভালো পালন করেছে। নাঈমও তাই। ক্রিকেটার হিসেবে উন্নতির জন্য আমি আমার সর্বোচ্চটাই করেছি এবং আশা করি বাংলাদেশের প্রতিটি ম্যাচেই তা করব।