এখনই টাকা দেন, না হলে আপনার স্বামীকে বাঁচানো যাবে না!

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি এক আসামির হার্টের চিকিৎসার কথা বলে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা হয়েছে। একটি চক্র ডাক্তার পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করে।

বন্দির স্ত্রী রাবেয়া বেগম শুক্রবার যশোর কোতোয়ালী থানায় বিষয়টি অবহিত করেন। সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন এটি প্রতারক চক্রের কাজ। বন্দি যশোর সদরের চাঁদপাড়া গ্রামের রকিব উদ্দিন কারাগারে সুস্থ আছেন।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবু তালেব জানান, রকিব উদ্দিনের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তার স্ত্রীর কাছে কল দিয়ে টাকা চাওয়ার বিষয়টি কোনো প্রতারক চক্রের কাজ হতে পারে। এ চক্র এর আগেও কারাগারে বন্দিদের নামে একাধিকবার টাকা নিয়েছে। এই চক্রকে ধরা দরকার।

যশোর সদরের চাঁদপাড়া গ্রামের রাবেয়া বেগম অভিযোগ করেন, তার স্বামী রকিব উদ্দিন চাঁদপাড়া দারুল উলুম খাদেমুল কুরআন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং শিক্ষক। মাদরাসার সুনাম নষ্ট করতে একটি মহল তার স্বামীর নামে ওই প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় গ্রেফতারের পর তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

রাবেয়া বেগম অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে ০১৭৮৭ ৪৩১৯০৬ নম্বর থেকে তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানানো হয়, রকিবের হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। হার্টের ৯০ ভাগ নিষ্ক্রিয়। ২৫ মিনিটের মধ্যে রিং না পরালে তিনি মারা যাবেন। তাকে যশোর কারাগার থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডা. শহিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে তার হার্টে রিং পরানো হবে। কিছুক্ষণ পরে ডা. সাহেব আপনাকে ফোন দেবেন। আপনি বিস্তারিত তার কাছ থেকে জেনে নেবেন। তবে আপাতত বিকাশে এক লাখ টাকা দেন। বাকি টাকা পরে দিলে হবে।

তিনি আরও জানান, ‘১০ মিনিট পরে ০১৮২৫ ০২৮২৮৮ নম্বর থেকে আরেকটা কল আসে। ফোনদাতা নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বলেন, এখনই টাকা দেন। না হলে আপনার স্বামীকে বাঁচানো যাবে না। পরে আমি এ ঘটনা কোতোয়ালী পুলিশকে জানাই। খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি।

যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই শারমিন আক্তার জানান, রকিব উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম এ ঘটনায় অভিযোগটি করেছেন। তাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, এটি কোনো প্রতারক চক্রের কাজ। কাউকে টাকা দিতে নিষেধ করা হয়েছে।