ক্রিকেট বিশ্বে এখন এক আলোচিত নাম- দীপক আগারওয়াল। সাকিব আল হাসানকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছিলেন এই নামকরা জুয়াড়ি। সেটি গোপন করায় সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব। কিন্তু আগারওয়ালকে সাকিবের ফোন নাম্বার দিলো কে? আকসু’র তদন্ত দলের জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব জানিয়েছেন, একজন পরিচিত তাকে আগারওয়ালের ফোন নম্বর দিয়েছিল। যদিও তৃতীয় সেই পক্ষটির নাম প্রকাশ করেনি আকসু।
প্রশ্ন উঠছে কে সেই তৃতীয় পক্ষ? যিনি আগারওয়াল ও সাকিবের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন? আইসিসি তার নাম প্রকাশ করলো না কেনো? তিনি কতটা ক্ষমতাধর যে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেলেন?
সাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চয় সেই ব্যক্তির নাম জিজ্ঞেস করার কথা আকসুর তদন্ত দলের। অকপটে ভুল স্বীকার করা সাকিবও সেটি গোপন করার কোনো কারণ নেই। আকসুও বলছে সাকিব তদন্তে তাদের সহযোগিতা করেছে। তার মানে সেই তৃতীয় পক্ষের নাম আইসিসি জানে। হয়তো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ার আগ পর্যন্ত তার নাম প্রকাশ করেনি আইসিসি। তবে, তাতে কি থেমে থাকে গুঞ্জন?
সাকিব যখন সেই ফোন নাম্বারটি পান, তখন তিনি বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরের হয়ে খেলছিলেন। কিছুদিন পরই তার সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেন আগারওয়াল। মধ্যস্থতাকারী সেই তৃতীয় পক্ষের সাথে সম্পর্ক বা তৃতীয় পক্ষের প্রভাব বিবেচনায় করেই হয়তো আগারওয়ালকে পুরোপুরি এড়িয়ে যাননি সাকিব। সেখান থেকেই শুরু।
সংশ্লিষ্ট অনেকেই ধারণা করছেন, এসব ক্ষেত্রে যোগাযোগের কাজটি লাইমলাইটে থাকা কেউ করার সম্ভাবনা কম। পর্দার অন্তরালে ক্ষমতা চর্চা করতে অভ্যস্ত এমন কেউ-ই হয়তো যোগাযোগ করিয়ে থাকতে পারেন। সূত্র জানাচ্ছে, এই তৃতীয় পক্ষ বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথেই সংশ্লিষ্ট একজন প্রভাবশালী। কে সেই ব্যক্তি, তার কথা কী বোর্ড জানে না? নাকি জেনেও আরও অনেক বিষয়ের মতো নীরবতা পালন করছে বিসিবি?