সাকিব আল হাসানকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়ার পর প্রস্তাব গ্রহণ না করলেও বিষয়টি আইসিসি কিংবা বিসিবিকে জানাননি তিনি। এই একই জুয়াড়ি তামিম ইকবালকেও ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেন।
তবে তাৎক্ষণিক তা বিসিবিকে জানিয়ে দেন তিনি। মজার বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের বড় তারকার পাশাপাশি উঠতি তারকাদের উপরও নজর ছিল জুয়াড়িদের, যেমন তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন।
২০১৮ সালের শুরুর দিকেই সাকিবের মতো আফিফও ফিক্সিংয়ের ইঙ্গিত পান। নিউজিল্যান্ডে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে তখন ব্যস্ত ছিলেন আফিফ। ওই টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়েই সন্দেহজনক কিছুর আভাস পান তরুণ এই ক্রিকেটার।
তবে সাকিব তামিমের মতো হোয়াটসঅ্যাপে আফিফকে ফাঁদে ফেলতে চাননি জুয়াড়ি। চেয়েছিলেন ই-মেইলের মাধ্যমে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চলাকালীন কোনো এক সময় আফিফ তার মেইলের ইনবক্সে একটি অজ্ঞাতনামা মেইল পান।
যেখানে ভক্ত পরিচয় দিয়ে রেস্টুরেন্টে দেখা করার নিমন্ত্রণ জানায় জুয়াড়ি। এমন প্রস্তাব পেয়ে আফিফ সাথে সাথেই দলের ম্যানেজমেন্টকে জানান।
বিষয়টি বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট জানাতে পারার সাথে সাথে আইসিসির কাছে পৌঁছে দেয় বার্তা। সে সময় বিসিবির কাছ থেকে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন আফিফ।