লালমনিরহাটে এক নারীর সাথে পরকীয়া করার সময় আল আমিন (২৭) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে ওই নারীর লালমনিরহাট শহরের বসুন্ধরা এলাকার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আল আমিনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটক পুলিশ কনস্টেবল আল আমিন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে। তিনি কনস্টেবল হিসেবে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ড. আব্দুল মজিদের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া ব্যক্তিজীবনে তিনি বিবাহিত।
পুলিশ জানায়, বসুন্ধরা এলাকার মৃত দেলওয়ার হোসেনের মেয়ে লায়লা পারভীন সুমির (৩৫) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আল আমিনের। আল আমিনের বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে লায়লা পারভীন স্বামী রফিকুলকে তালাক দেন। এরপর দীর্ঘদিন ধরে আল আমিনের সাথে তার সম্পর্ক চলে আসছে।
গত ২১ অক্টোবর ১০ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন আল আমিন। এরপর গত তিন দিন ধরে প্রেমিকা সুমির বাড়িতে তার সঙ্গে ছিলেন আল আমিন। পরে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সুমি বিয়ের জন্য চাপ দেয় আল আমিনকে। এদিকে প্রেমিকা সুমি আক্তার বিয়ের দাবিতে অনড় থাকলেও আল আমিনের স্ত্রী আরজু আক্তার এ বিয়েতে রাজি না থাকায় বেকে বসেন আল আমিন। একপর্যায়ে প্রেমিকা ও তার পরিবার স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে বাড়িতে আটকে রাখেন।
বিষয়টি জানতে পেয়ে পুলিশ কনস্টেবল আল আমিনের বাবা ছেলের নিখোঁজ দাবি করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দেন। পরে সদর থানা পুলিশ বুধবার প্রেমিকা সুমির বাড়ি থেকে আল আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
সুমি অভিযোগ করে বলেন, আল আমিনের সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক চলে আসছে। সে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে এবং তার ভিডিও ধারণ করে রেখেছে। একপর্যায়ে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে রাজি না হওয়ায় তাকে আটকে রাখা হয়।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। আল আমিনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।