সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি এখন দেশের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু। সবারই এ বিষয়ে আগ্রহ প্রচুর। পক্ষে-বিপক্ষে মতামতও মিলছে অনেক। শাস্তির বিষয়ে আলোচনার ডালপালাও গজাচ্ছে অনেক। শোনা যাচ্ছে নানান ধরনের কথাবার্তা।
শুরুতে অবস্থাটা ছিলো সাকিবের পক্ষে। এখনও বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের বড় অংশ সাকিবের প্রতি মমত্ববোধ দেখাচ্ছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের অবদান, তার মেধা-প্রজ্ঞা এবং জনপ্রিয়তা- সবার মনেই দাগ কেটেছে। এ কারণেই আমজনতার কাছেও তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রাণভোমরা
সেই প্রাণভোমরা এক বছর খেলবেন না ক্রিকেট মাঠে। সবার খারাপ লাগাই স্বাভাবিক। পাশাপাশি কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের দেখাও মিলছে তিনবার জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েও সাকিব কেন চুপ ছিলেন? আবার এক্ষেত্রে বিসিবির করণীয় কী বা তাদের ভূমিকাই বা কী ছিল?- এমন অনেক প্রশ্নই ঘুরছে সবার মুখে মুখে।
তবে যেহেতু আকসুর কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন সাকিব এবং মেনে নিয়েছেন আইসিসির দেয়া শাস্তি। তাই প্রথম প্রশ্নের উত্তরটা হয়তো আর পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সাকিবের ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কিছু করার আছে কি না? থাকলে সেটি সাকিবের শাস্তি কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে কি না?- এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব বোর্ডের কাছ থেকেই।
এসব বিষয় নিয়েই আজ (বৃহস্পতিবার) কথা বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি জানিয়েছেন, সাকিবের ইস্যুতে বোর্ডের করণীয় খুব সীমিত হলেও, যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন তারা। যদি কোনো সুযোগ থেকে থাকে, অবশ্যই সেটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে বোর্ড।
উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দেখুন এ বিষয়ে বিসিবির করণীয় খুবই সীমিত। যেহেতু সাকিব এই বিষয়টি স্বীকার করে একটি চুক্তির মধ্যে চলে গেছে। তারপরও আমরা দেখবো। আইনি বিষয়গুলো নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায়। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের আইনি বিভাগের (লিগ্যাল কমিটি) সঙ্গে কথা বলছি। এ বিষয়ে কোনো সুযোগ আছে কিনা, সেটা আমরা ওয়ার্ক আউট করব।
এসময় বিসিবির প্রধান নির্বাহী এটিও মনে করিয়ে দেন যে, লিগ্যাল কমিটির সঙ্গে কথা বলা মানেই এমন না যে নিশ্চিতভাবে শাস্তি কমে যাবে সাকিবের। বরং এ বিষয়ে যৌক্তিক আলোচনার পর যদি কোনো পথ মেলে, সেটিই অনুসরণ করবে বিসিবি।
প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়। আগে আগে হয়ে যাবে মন্তব্য। মাত্র দুদিন হলো এ বিষয়ে আমরা একটি সিদ্ধান্ত জানতে পেরেছি। এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়গুলো নিয়ে বোর্ডে আলোচনা করতে হবে। কতটুকু করা যায় বা কতটুকু করার সুযোগ রয়েছে এটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে বোর্ড সভায়। যেহেতু এটা আইনি প্রক্রিয়া। এটা জেনে তারপরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কথা ওঠে ভারত সফরে টেস্টের নতুন অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাপারে। জানতে চাওয়া হয়, এ দুজনকেই দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কি না বোর্ডের?
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সাকিব আমাদের টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ছিল। আমাদের সামনে ভারত সফর আছে, দল চলেও গেছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দ্রুত আলোচনা দরকার ছিল। পরবর্তীতে এটা বোর্ডে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’