বড় এক ঝড় বয়ে গেল বাংলাদেশের ক্রিকেটে। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। এর মাঝে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এ ঘটনায় নিজের দায় ও শাস্তি মেনে নিয়েছেন।
ভারতীয় জুয়াড়ি দীপক আগারওয়ালের সঙ্গে কথোপকথন গোপনের দায়ে সাকিব আল হাসানকে এই শাস্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
সাকিবের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণার পরপরই ক্রিকেটভক্তদের মনে প্রশ্ন কে এই দীপক আগারওয়াল।
জানা গেছে, দীপক আগারওয়াল একজন ভারতীয় এবং জুয়াড়ি হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিত।
এই জুয়াড়ি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) কালো তালিকাভুক্ত। তাই তার টেলিফোন কল রেকর্ড থেকে শুরু করে চালচলন, তার থাকা-খাওয়া সবকিছুর খোঁজখবরও রয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার কাছে।
এই জুয়াড়ি তার অপকর্মের জন্য আটকও হয়েছেন। ২০১৭ সালের এপ্রিলে ভারতের রায়গড় শহর থেকে আরও দুই জুয়াড়িসহ আটক হয়েছিলেন তিনি। ওই সময়ে আটককৃতদের কাছ থেকে জুয়ার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদিও উদ্ধার করা হয়।
তখন ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছত্তিসগড়ের পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে জুয়াড়ি চক্রের প্রধান দীপক আগারওয়াল ও তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
ওই সময়ে তাদের কাছ থেকে জুয়ার কাজে ব্যবহৃত তিনটি ল্যাপটপ, বেশ কয়েকটি মোবাইল ও ৮০ হাজার রূপি জব্দ করে পুলিশ।