জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় সব ধরনের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানকে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। তবে তিনি দায় স্বীকার করায় এর মধ্যে এক বছর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি টুর্নামেন্ট ও সিরিজে পাওয়া যাবে না তাকে।
অবশ্য বিসিবি অনুরোধ করলে সাকিবের শাস্তি আরেকটু কমতে পারে। এর পরও কমপক্ষে ৩৬টি ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি। অংশ নিতে পারবেন না আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ২৯ অক্টোবর ২০১৯ থেকে শুরু হয়ে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এই এক বছর আইসিসির কড়া নজরদারিতে থাকবেন সাকিব। সামান্য ভুলেই নিষেধাজ্ঞা বেড়ে দুই বছর হয়ে যাবে। তাই এ সময় বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে-
* নিষেধাজ্ঞার সময়ে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের আইন কিংবা কোনো দেশেরই দুর্নীতিবিরোধী আইন ভাঙা যাবে না। পারলে বা সম্ভব হলে ভালো কাজ করতে হবে।
* আইসিসির নির্দেশনানুসারে বিভিন্ন দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা কার্যক্রম এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছায় ও পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। তারা যেভাবে বলে দেবে ঠিক সেভাবেই কাজ করতে হবে।
এ শর্ত দুটি ঠিকমতো পূরণ করলেই এক বছরে শেষ হবে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা। ফিরতে পারবেন ২২ গজে। ব্যত্যয় ঘটলে নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসবে।