Home > অন্যান্য > সাকিব, তোমাকে এভাবে থামিয়ে দেওয়ায় হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে ভাই

সাকিব, তোমাকে এভাবে থামিয়ে দেওয়ায় হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে ভাই

বাইরে থেকে ছেলেটিকে দেখে একটু অহংকারী মনে হতে পারে। তার কিছু আচরনে অনেক সময়ই অনেকের মত ব্যথিতও হয়েছি। কিন্তু ক্রিকেটের মাঠে সে সত্যিকার একজন চ্যাম্পিয়ন।

বিশ্বের ক্রিকেট খেলুড়ে সব দেশের সেরা একাদশে খেলার মত একমাত্র প্লেয়ার সাকিব এতে কারো দ্বিমত নেই। কি করেনি ছেলেটা দেশের ক্রিকেটের জন্য ? এইতো শেষ বিশ্বকাপেও ছেলেটা দেশের ক্রিকেটকে একাই টেনে নিয়ে গেল অনেকদূর। ক্রিকেটের টুকটাক খবর রাখে এমন কেউ বিশ্ব ক্রিকেটে তার আবদান অস্বীকার করতে পারবে ? কত কঠিন কঠিন ম্যাচ বের করে এনেছে সাকিব। কি ইন্টারন্যাশনাল, কি ফ্রাঞ্চাইজি, কি ক্লাব ক্রিকেট ! এটাই সাকিব !

সন্মান করার মত অনেক প্লেয়ার জন্মেছে এদেশে। কিন্তু ক্রিকেটার সাকিব বাংলাদেশে একজনই। নিঃসন্দেহে সবাই একবাক্যে সেটা স্বীকার করবে।

যে ঘটনায় তাকে এতদিন পর সাজা দেওয়া হলো ক্রিকেটের আইনের ভাষায় হয়ত ঠিক আছে। তবে প্রত্যেক আইনের মধ্যে ব্যতিক্রম বলে একটা কথা আছে। সরল বিশ্বাসে কৃত কাজ আর সেই কাজে যদি কোন ক্ষতি না হয় তবে সেটা বিবেচনার বিষয় হয়ে দাড়ায়। সাকিব বুকিদের অফারে কোন সাড়া না দিলেও বিষয়টাতে গুরুত্ব না দিয়ে এবং কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে হয়ত সে ভুল করেছে। আর যেহেতু সাকিব অফার একসেপ্ট করেনি এবং আগে-পরে সাকিবের এ ধরনের কোন রেকর্ড নেই, কাজেই তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে সাজার বিষয়টা বিবেচনা করা যেত। যদিও ক্রিকেটের আইনে এ বিষয়ে কি আছে তা আমার জানা নেই।

তবে ইন্ডিয়া সফরের আগে ফর্মের তুঙ্গে থাকা সাকিবকে এত আগের একটা ঘটনায় এই মুহূর্তে সাজা দেওয়া তাকে একটু কায়দা করে থামিয়ে দেওয়া হিসেবেই দেখছে ক্রিকেট পাগল জনতা। আইনি কারণে তোমাকে যারা যেভাবেই দেখুক আমার কাছে তুমি সত্যিই একজন চ্যাম্পিয়ন! তোমাকে এভাবে থামিয়ে দেওয়ায় হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে ভাই। ফিরে আসবে বীরের বেশে সে দিনের প্রত্যাশায়।

(ফেসবুক স্ট্যাটাস)

লেখক : ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সূত্রাপুর থানা, ডিএমপি।