গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আইসিসির ওয়েবসাইটে সাকিকে ২ বছরের নিষিদ্ধ ঘোষণার পরপরই রীতিমতো ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আইসিসির এমন সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারসহ বহু তারকারা।
বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ম্যাচ ফিক্সংয়ের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন দীপক আগারওয়াল নামের এক জুয়াড়ি কিন্তু জুয়ার এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থা আইসিসিকে এই ঘটনা না জানানোর কারণে সাকিবকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি।
ক্রিকেটবোদ্ধারা মনে করেন, আইসিসি সাকিবকে লঘু পাপে গুরু দণ্ড দিয়েছে। সেক্ষেত্রে ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথের বল টেম্পারিংয়ের শাস্তির কথাও উদাহরণ স্বরূপ টেনেছেন কেউ কেউ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে গত বছরের মার্চে টেস্টের তৃতীয় দিনে অজিদের বল টেম্পারিং নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড় পড়ে যায়।
সেই ভিডিওতে দেখা যায় ফিল্ডিংয়ের সময় অস্ট্রলিয়ার ক্রিকেটার ক্যামেরুন ব্যানক্রফট পকেট থেকে সিরিশ কাগজ জাতীয় কিছু বের করে বলের আকৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। পরে সংবাদ মাধ্যমে স্মিথ ও ব্যানক্রফট বল টেম্পারিংয়ের কথা স্বীকার করে নেন।
এই ওয়ার্নার-স্মিথকে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আর টেম্পারিংয়ে সরাসরি যুক্ত থাকা ব্যানক্রফট নিষেধাজ্ঞা পান নয় মাসের জন্য।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বল বিকৃতির এই ঘটনায় স্মিথকে চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়ে এক টেস্টের জন্য নিষেধাজ্ঞা পাশাপাশি ম্যাচ ফির শতভাগ জরিমানা করে। আর ব্যানক্রফটকে নিষেধাজ্ঞা না দিলেও ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা ও তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়।
প্রায় দেড় বছর পর ওয়ার্নার-স্মিথ-ব্যানক্রফটের ওই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই ভুল করে বলছেন, স্মিথকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা আইসিসি দিয়েছিল।
প্রকৃতপক্ষে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা ছিল মাত্র এক ম্যাচের। আর এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড। তাই অনেকই বলছে অপরাধ করে স্মিথ নিষিদ্ধ হন ১ ম্যাচ, আর সাকিব হন ২ বছরের জন্য।