Home > শিক্ষা > ২ মাসের ছুটিতে গিয়ে ১ বছরেও ফেরেননি প্রাথমিক শিক্ষিকা নুরুন্নাহার

২ মাসের ছুটিতে গিয়ে ১ বছরেও ফেরেননি প্রাথমিক শিক্ষিকা নুরুন্নাহার

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর দেউলী তেয়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা মোসাঃ নুরুন্নাহার শিরিন শারীরিক অসুস্থতার কারন দেখিয়ে দুই মাসের ছুটির আবেদন দিয়ে এক বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে বারবার বিদ্যালয়ে যোগদান করার জন্য নির্দেশ দিলেও তাতে তিনি কোন কর্নপাত করেনি। 

এমনকি সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিনা ছুটিতে দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর দেউলী তেয়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসাঃ নুরুন্নাহার শিরিন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারন দেখিয়ে দুই মাসের জন্য (অক্টোবর ও নভেম্বর) ছুটিতে যান।

ছুটি শেষে ডিসেম্বর মাসে নিজ কর্মস্থল উত্তর দেউলী তেয়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করার কথা থাকলেও তিনি যোগদান করেননি। পরবর্তীতে তিনি ছুটি বৃদ্ধিকরনের জন্য আবেদন কিংবা কোন প্রকার যোগাযোগ ছাড়াই ১ ডিসেম্বর থেকে অদ্যাবধি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।

এদিকে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্য্যালয়ে বিভাগীয় মামলা হলে গত ২৩ অক্টোবর পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা মোসাঃ নুরুন্নাহার শিরিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলাম। যার কারনে বিদ্যালয়ে যোগদান করতে পারিনি।

তবে বিষয়টি তদন্তের সময়ে আমার অসুস্থতার সকল কাগজপত্র স্যারদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছি এবং আমি এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম বলেন, সহকারি শিক্ষিকা মোসাঃ নুরুন্নাহার শিরিনের ছুটি শেষে বিদ্যালয়ে যোগদান না করলে, এর কারন জানতে চাইলে তিনি অসুস্থর কথা বলে এড়িয়ে যান। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, সহকারি শিক্ষিকা মোসাঃ নুরুন্নাহার শিরিনকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও তিনি কর্মস্থলে যোগদার করেনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম এ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সহকারি শিক্ষিকা মোসাঃ নুরুন্নাহার শিরিন বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত রয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাটি তদন্তধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।