স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরও তা আইসিসির কাছে গোপন করায় সবধরনের ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব আল হাসান।
জানা গেছে, দুই বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে এক ক্রিকেট জুয়াড়ির (বুকি) কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। সেটি তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করলেও আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে না জানিয়ে গোপন করেন তিনি। বিষয়টি পরে আইসিসি জানতে পারে। আন্তর্জাতিক জুয়াড়িদের কল রেকর্ড ট্র্যাকিং করে এ ব্যাপারে তারা তথ্য উদ্ধার করে। ওই জুয়াড়ি আইসিসির কালো তালিকায় থাকাদের একজন।
বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর সম্প্রতি সাকিবের সঙ্গেও কথা বলেন আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু) প্রতিনিধি।
একই কারণে সেসময় মুশফিকুর রহিমকেও আকসুর জেরার সামনে পড়তে হয়। জানতে চায় তাকেও কোনো জুয়াড়ি ফোন করেছে কি না? জবাবে মিস্টার ডিপেন্ডেবল জানান, সে রকম কারো কাছ থেকে ফোন পাননি তিনি।
পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি পর্যবেক্ষণের জন্য মুশফিকের মোবাইল ফোন চায় আকসু। সেই ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে তারা। তবে তাতে অমন কিছু পাওয়া যায়নি। ফলে সন্দেহের তালিকা থেকে মুক্ত হন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
আরও পড়ুন: এবার রাণুর কন্ঠে ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’, ভিডিও ভাইরাল
আকসুর নিয়মে আছে, কোনো ক্রিকেটার, ম্যাচ অফিসিয়াল, টিম অফিসিয়ালসহ সরাসরি ক্রিকেটে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তি জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অনৈতিক প্রস্তাব না জানিয়ে চেপে গেলে, লুকানোর চেষ্টা করলে বা আকসুর জিজ্ঞাসাবাদেও অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে ‘আইসিসি অ্যান্টিকরাপশন’ ধারা ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৪, ২.৪.৫ ও ২.৪.৬ কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ছয় মাস আর সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে আইসিসি।