ক্রিকেটারদের দেনাপাওনা ইস্যুতে সম্প্রতি যে ধর্মঘট হলো, সেখানে ক্রিকেটারদের নেতৃত্ব দেন সাকিব। ফলে নেতা হিসেবে এই দ্বন্দ্বে ক্রিকেট বোর্ডের মুখোমুখি হতে হয় সাকিবকেই। ধর্মঘট মিটতে না মিটতেই আবারো খবরের ইস্যু হলো সাকিব বনাম বিসিবি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে সাকিব-বিসিবি দ্বন্দ্ব টা অনেক আগে থেকে চলে আসছে। সেই দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে এবার বোমা ফাটালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বাজে সময় পার করছে সেই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে। তবে সাকিব-পাপন দ্বন্দ্বের শুরু যেন চট্টগ্রাম টেস্টের পর থেকে। নবীন আফগানদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে বিশাল পরাজয় ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল এদেশের ক্রিকেটের। আর দলের এমন পরাজয়ের জন্য বিসিবি সভাপতি পাপনের অভিযোগের তীর অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দিকে।
দেশের এক শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় এমনটাই বলেছেন বোর্ড সভাপতি। তিনি বলেন, অনুর্ধ্ব-১৯ দলও আফগানিস্তানকে হারাতে পারে। এছাড়া শেষ মুহুর্তে দলের পরিকল্পনা কে বদলালো, সে বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়েই ক্রিকেটারদের কাছে খারাপ বনে যান তিনি।
‘আমার মনে হয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল দিয়ে খেলালেও আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্ট জিততে পারতাম। আফগানিস্তানের সঙ্গে আমরা হারব, তাও বাংলাদেশে! বড় বড় দেশও আমাদের এখানে এসে পারে না। আমাদের যা যা পরিকল্পনা ছিল, সব উল্টে দিল কে? কেন? এটার জবাব খুঁজতে গিয়ে আমি যেন বিরাট অন্যায় করে ফেলেছি। আমি জানতে চেয়েছি, যে উইকেট আমরা বানালাম, সেই উইকেটে খেলা হয়নি কেন?’
আফগানদের বিপক্ষে স্পিনিং উইকেট অধিনায়ক নিজেই বাছাই করছে বলে জানান তিনি। পাপন জানান, ‘সাকিব বলেছে এটা বাজে উইকেট। কিন্তু অন্যরা বলেছে, সাকিব নিজেই নাকি বল করে উইকেট বাছাই করেছে। যাকেই জিজ্ঞেস করি, বলে সাকিব এই উইকেটে খেলতে চেয়েছে। এখন ও যদি সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে খেলা শেষে ও-ই কেন বলল, বাজে উইকেট! তখন আমি একটা কমিটি করে বললাম তদন্ত করতে।’
দ্বিতীয় ইনিংসে দলের ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করেছেন সাকিব। এই পরিবর্তনের সম্পর্কে কিছুই জানতো না বলে দাবি করেন পাপন, ‘মুশফিককে দিয়ে ওপেনিং করাল, আমরা তো কেউ কিচ্ছু জানি না! ও (সাকিব) নাকি এটাও বলেছে, পারলে মোসাদ্দেককে দিয়ে ওপেন করাত। সংবাদমাধ্যমে আবার বলছে, সব ওপর থেকে করা হয়।’
আফগানদের বিপক্ষে লজ্জার পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়েই ক্রিকেটারদের আন্দোলন শুরু হয় বলে জানান এই সভাপতি। নিজের পেশাদারিত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে পাপন জানান সভাপতি হিসেবে তদন্ত করার অধিকার রয়েছে তাঁর।
‘আমি সারা জীবন পেশাদার ছিলাম। আমি চেষ্টা করি একটা নিয়মের মধ্যে চলতে। কিন্তু তদন্ত করতে বলার পর এমন একটা হুলুস্থুল শুরু হলো! বোর্ডের সভাপতি হিসেবে আমার কি অধিকার নেই, আমি কি জানতে পারি না? ওরা বলছে, আমি কেন আমার লোকদের কথা শুনে একজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বলেছি। আমার প্রশ্ন, সাকিব কেন তাহলে ওই বাজে পিচটা বেছে নিল টেস্টের জন্য?’