Home > জাতীয় > সারাদেশ > দেড় হাজারের বিদ্যুৎ বিল হয়ে গেলো ৪৫ হাজার

দেড় হাজারের বিদ্যুৎ বিল হয়ে গেলো ৪৫ হাজার

নাটোরের সিংড়ায় এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৪৫ হাজার ৬০৬ টাকা। অথচ আগস্ট মাসে বিল এসেছে মাত্র দেড় হাজার টাকা।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেড় হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল ৪৫ হাজার, চা দোকানের বিল ২৩ হাজার ও চুরি যাওয়া মিটারের বিল ৯ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকের কাছে পাঠানো হয়েছে। যা অনেকটাই কাল্পনিক গল্পের মতো।

সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের রাখালগাছা বাজারের ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপের মালিক শাহাদত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিংড়া জোনাল অফিস থেকে ইস্যুকৃত তার দোকানের সেপ্টেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৪৫ হাজার ৬০৬ টাকা। যা আগস্ট মাসে ছিলো মাত্র ১ হাজার ৭১৯ টাকা। আর জুলাই মাসে ছিলো ১ হাজার ২৮৬ টাকা।

তিনি আরও বলেন, জুলাই মাসে মোট ১১৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে। মিটার ভাড়া ১০ টাকা ও ভ্যাট ৬২ টাকাসহ মোট নিট বিল করা হয়েছে ১ হাজার ২৮৬ টাকা। আগস্ট মাসে ১৫৫ ইউনিটের বিপরীতে ৮২ টাকা ভ্যাট ও অন্যান্যসহ মোট বিল করা হয়েছে ১ হাজার ৭১৯ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৪ হাজার ২১৩ ইউনিটের বিপরীতে মিটার ভাড়া ও ভ্যাট ২ হাজার ১৭২ টাকা ধরে মোট বিল করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৬০৬ টাকা। এটা অসম্ভব আর কল্পনিক ছাড়া কিছু নয়।

শেরকোল শাহী বাজারের চা বিক্রেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার দোকানে সেপ্টেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা। তিনি বলেন, এটা আমার মিটারের প্রথম বিল। অফিসে অভিযোগ করেছি।

একই এলাকার আফাজ উদ্দিন বলেন, গত চৈত্র মাসে তার মিটার চুরি হয়ে গেছে অথচ এ মাসে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৯ হাজার ৬২৭ টাকা। এ বিষয়ে অফিসে যোগাযোগ করেও তিনি কোন সমাধান পাননি।

পৌর এলাকার বালুয়া-বাসুয়া মহল্লার সুমন মাহফুজ বলেন, প্রতিমাসে আমার বিল আসতো ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। অথচ চলতি মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৪ হাজার ৪৭৫ টাকা। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসায় বাধ্য হয়ে বিল পরিশোধ করেছি।

অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার বাসায় কেউ থাকেন না। আমার বিদ্যুৎ বিল আসার কথা সর্বনিম্ন। কিন্তু কয়েক মাস থেকে এ মিটারে দেড় হাজার টাকার মতো বিলের কাগজ দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে প্রতিবাদ করায় আমার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সিংড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রেজাউল করিম বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। এসব অভিযোগ আমার জানা নেই। তবে গ্রাহকদের যে কোন অভিযোগ পর্যালোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করবো।