Home > খেলাধুলা > ম্যাচ হেরে নিজেদের আর্জেন্টিনার সঙ্গে তুলনা করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

ম্যাচ হেরে নিজেদের আর্জেন্টিনার সঙ্গে তুলনা করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

বিপিএলের নবম আসরের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় পরাজয় দিয়েই টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করে তারা। এমন পরাজয়ের পর নিজেদেরকে আর্জেন্টিনার সঙ্গে তুলনা করে নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে পোস্ট করেছে দলটি।

অফিশিয়াল ফেসবুকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনাও প্রথম ম্যাচ হেরেছিল, কিন্তু তারাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।’ এর আগে  আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর আড়াইটায়। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে মাত্র ৮৯ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

এদিন চট্টগ্রামের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটেরও। দলীয় ১২ রান সংগ্রহ করতেই মৃত্যুঞ্জয়ের শিকার হয়ে বিদায় নেন বিদেশি রিক্রুট কলিন অ্যাকারম্যান। শুরু ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে শান্ত ও জাকির হাসান গড়েন ৬৩ রানের জুটি। দলীয় ৭৫ রানে জাকির হাসান লঙ্কান বোলার পুষ্পকুমারার বলে এলবির শিকার হন। তার আগে তিনি ২১ বলে করেন ২৭ রান।

পরবর্তীতে তৃতীয় উইকেটে বাকিটা সময় দেখে শুনে কাটিয়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ১২.৩ ওভারের সময় বাকি ১৫ রান তুলে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শান্ত-মুশফিক জুটি। শান্ত ৪১ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৪৩ রানে এবং মুশফিক ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।এদিকে, এমন বড় ব্যবধানে পরাজয়ের পর ফেসবুকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এক লাইনের স্ট্যাটাস দেয়। যেখানে তারা লিখে, ‘আর্জেন্টিনাও প্রথম ম্যাচ হেরেছিল, কিন্তু তারাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।’

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে এমন পোস্টের  সমালোচনা করেছেন অনেকেই। ক্রিকেট ভক্তদের অধিকাংশই পোস্টটিতে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। সেই পোস্টে মোবারক ইসলাম নামের একজন মন্তব্য করেন, ‘চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার কি এটাকে পার্সোনাল কিংবা কোনো ফ্যান পেইজ মনে করেছেন। দলটা বরাবরের মতো যাচ্ছেতাই। গতবার তবু উইল জ্যাকস আর মৃত্যুঞ্জয় বাঁচিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় গতবারে ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট ছিলো, এবার সেটারও বাজে অবস্থা। কি দরকার ছিলো এত্তো জোর করে বিপিএলে খেলার।’