কুমিল্লা সদরের জাগুড়ঝুলির বৈশাখী ও রাজধানি হোটেল থেকে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে ৩৩ জন নারী-পুরুষ ও হোটেল স্টাফকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আর ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদেরকে বাধ্য করে পতিতাবৃত্তি ব্যবসায় আনা হয়েছিল। এ ঘটনার পর হোটেল মালিক জসিম উদ্দিন শান্ত পলাতক রয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে ডিবি পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ ঘটনায় বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে কোতয়ালী মডেল থানায় হোটেল মালিক শান্ত, ম্যানেজার মিন্টুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মানব পাচাঁর আইনে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হোটেল স্টাফ ৭ জন আটক হয়েছেন। এর মধ্যে হোটেলের টোকেনম্যান নয়ন আটক রয়েছেন। হোটেল মালিক জসিম উদ্দিন শান্ত কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহবাদ ইউনিয়নের নওয়াবগন্জ উত্তরপাড়া এলাকার মাওলানা আলী আশরাফের বাড়ির ছায়েদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও একাধিক স্থানীয় সূত্র জানায়, হোটেল মালিক শান্ত দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মেয়ে এনে পতিতাবৃত্তি ব্যবসা করে আসছে। আবার অনেককে জিম্মি করেও এ ব্যবসায়ও রাখা হচ্ছে। দেশের চাদঁপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, নাটোর, নারায়নগন্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মেয়েদের এ হোটেলে এনে পতিতাবৃত্তি ব্যবসা করছে জসিম উদ্দিন শান্ত। বিভিন্ন খদ্দের থেকে দেড় হাজার, ১ হাজার ও ৫ শত টাকার বিনিময়ে এ ব্যবসা করাচ্ছেন এই শান্ত। তাঁর রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেট। বড় বড় ব্যবসায়ি, রাজনীতিবিদদের নামে বিভিন্ন মেয়েদের দিয়ে মামলা করিয়ে হয়রানি করে থাকেন এই শান্ত। শান্ত কিছু কথিত সাংবাদিক ও আইনশৃঙখলা বাহিনীর কিছু অসৎ সদস্যকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে থাকেন বলে একাধিক সূত্র জানায়।
কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া জানান, এই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। ২০ জন মেয়ে ও ৬ জন খদ্দের এর বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এছাড়া হোটেল মালিক শান্ত ও ম্যানেজার মিন্টুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মানব পাচাঁর আইনে মামলা হয়েছে।