Home > জাতীয় > ভোটারদের গাভীর দুধ খাওয়ানোর পরও জিততে পারলো না

ভোটারদের গাভীর দুধ খাওয়ানোর পরও জিততে পারলো না

দিনাজপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ নং রাজঃ ২৪৫) ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সহসাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাহাবুর রহমান ড্রাইভার হেরে গেছেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে তিনি তৃতীয় হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৫৫৪। এদিকে মাহাবুর ড্রাইভার গাভী প্রতীক নিয়ে পরাজিত হলেও ২৪ ডিসেম্বর শনিবার নির্বাচন কমিশনের কাছে পুনরায় ভোট গণনার জন্য আবেদন করেছেন।

সহস-ম্পাদক পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। এদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ফলাফল অনুযায়ী সহসম্পাদক পদে ৮১৫ ভোট পেয়ে হরিণ প্রতীক নিয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তলোয়ার প্রতীক নিয়ে খন্দকার নয়ন উদ্দিন পেয়েছেন ৭০১ ভোট। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ১২ মন গাভীর দুধ খাওয়ানো সহসাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাহাবুর রহমান ড্রাইভার। তিনি গাভী প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫৪ ভোট।

অপর দুই প্রার্থী সিংহ প্রতীক নিয়ে সহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৪৯ এবং প্রজাপতি প্রতীকে আলমগীর হোসেন পেয়েছেন ১১৬ ভোট। নির্বাচনে ৪ হাজার ৭৬৭ ভোটারের মধ্যে ৩ হাজার ৮৩৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এরমধ্যে সহসম্পাদক পদে ২ হাজার ৩৭৫টি ভোট কাস্ট দেখানো হয়েছে। যার মধ্যে ১ হাজার ১০৪ ভোট বাতিল দেখানো হয়েছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে মাহাবুর রহমান ড্রাইভার বলেন, ৪ হাজার ৭৬৭ ভোটারের মধ্যে ৩ হাজার ৮৩৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু সহসম্পাদক পদে ২ হাজার ৩৭৫ টি ভোট কাস্ট দেখানো হয়েছে। আর ১ হাজার ১০৪ ভোট বাতিল দেখানো হয়েছে। এটা অসম্ভব একটি বিষয়।তিনি আরো বলেন,তা ছাড়া ব্যালট পেপারে আমার গাভী মার্কার প্রতীকটি কালো হওয়ায় অনেক সিল নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের চোখ এড়িয়ে গেছে। তাই আমি সহসম্পাদক পদে পুনরায় ভোট গণনার জন্য আবেদন করেছি।

দুধ খাওয়ানোর বিষয় তিনি বলেন, যেহেতু আমি গাভী প্রতীক নিয়েছিলাম। তাই শীতে ভোটের দিন ভোটাররা আমার কাছে দুধ খেতে চেয়েছিল। আমি রাজি হয়েছিলাম। আমি দুধ খাইয়েছি। ভোটাররা দুধ খেয়ে ভোট দিতে গিয়ে যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়েছে। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই।

তবে তিনি যোগ করে বলেন, ১২ মন দুধ খাইয়েছি। ভোটাররা এক পোয়া করে দুধ খেয়ে যদি ১টা করে ভোট আমাকে দিত তাহলে আমি ১ হাজার ৯২০ টা ভোট পেতাম এবং জিতে যেতাম। গরম দুধ খেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ভোটাররা ভোট দিয়েছে। এক পোয়া দুধেও আমার ভাগ্যে একটি করে ভোট মেলেনি!

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. আজগার আলী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।