রাসেলের বিয়ের চার বছর পার হলেও কোনো সন্তান হচ্ছিল না। অবশেষে গত বুধবার রাতে বাবার বাড়িতে অবস্থান করা স্ত্রী ফোন করে স্বামীকে রাসেলকে জানান তিনি সন্তান সম্ভবা হয়েছেন। এই সুখবর পেয়ে রাসেল মিয়া (২৯) একটি কাভার্ডভ্যান চালক গাড়ি নিয়ে গভীর রাতে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি যাত্রীবাহি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর)ভোরে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার হারুয়া এলাকায় ওই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সংবাদ পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে একটি টিম মরদেহ উদ্ধার করে ঈশ্বর গন্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন বলে নিশ্চিত
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার দাপুনিয়া এলাকার মোঃ মোসলেম উদ্দিন’র ছেলে রাসেল মিয়া গাজীপুর জেলায় একটি বহুজাতিক কোম্পানীর কাভার্ডভ্যানের চালক হিসেবে কাজ করতো। সেই কাভার্ডভ্যান নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মালামাল নামিয়ে গত বুধবার সন্ধ্যার পর নিজ বাড়িতে যান রাসেল। রাতে খাবার খেয়ে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করা স্ত্রীর সাথে কথা বলে জানতে পারেন তিনি বাবা হচ্ছেন।
এই খবরে তিনি ব্যাপক উৎফুল্ল হয়ে ঘটনাটি বাড়ির সবাইকে জানিয়ে দেয়। বাবা হচ্ছে এমন খুশির খবরে রাতে না ঘুমিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরেই বাড়ির সামনে রাখা কাভার্ডভ্যান নিয়ে বের হয়ে যায় রাসেল। যাওয়ার সময় বাড়িতে বলে যায় গাড়ি রেখেই সে দ্রুত শ্বশুড়বাড়িতে যাবে। এই অবস্থায় ভোর হলেই খবর আসে রাসেল সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।এ খবরে সকলেই স্তম্ভিত হয়ে যায়।
এ মৃত্যুকে কোনো ভাবেই মানতে পারছেনা পরিবারের লোকজন।মঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, এঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বাসটিকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।