ফেনীর চাঞ্চল্যকর নুসরাত জাহান রাফিকে পু’ড়ি’য়ে হ’ত্যা মামলায় ১৬ আসামির সবাইকে মৃ’ত্যুদ’ণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। মামলার অন্যতম আসামি হ’ত্যাকা’ণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় নুসরাতের সহপাঠী কামরুন নাহার মণির সর্বোচ্চ সা’জা হয়েছে।
অন্তঃসত্ত্বা থাকায় অবস্থায়ই হ’ত্যাকা’ণ্ডের মিশনে অংশ নেন মণি। কারাগারে (২১ অক্টোবর) কন্যা সন্তানের মা হন মণি। ফাঁসির আদেশের পর এখন তার সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু বলেন, মাননীয় নারী ও শিশু নি’র্যা’তন দ’ম’ন ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছেন সে রায়টি কার্যকর হতে আরও দীর্ঘ সময় লাগবে। কারণ আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করবেন, পেপারবুক তৈরি হবে এবং এটা আপিল বিভাগে যাবে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ফুল কোর্টে শুনানি হবে।
এরপর আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রা’ণভি’ক্ষা চাইতে পারেন। এ প্রক্রিয়াটি আরও অনেক সময় লাগবে। কয়েক বছর লাগতে পারে। এ সময়ের মধ্যে কামরুন নাহার মণির বাচ্চা বড় হয়ে যাবে। বাচ্চা তার পিতার জিম্মায় চলে যেতে পারবে। এবং কামরুন নাহার মণির শা’স্তি কার্যকর হতে পারবে, বলেন তিনি।
তবে, এলাকাবাসী বলছেন, উচ্চ আদালতে মণির দ’ণ্ড লাঘব হলেও এ শিশুটি ভবিষ্যতে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হবেন। কারণ এ হ’ত্যা মিশনে কামরুন নাহার মণির যে ন্যা’ক্কা’রজনক ভূমিকা পালন করেছেন তার সা’জা তাকে ভোগ করতেই হবে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কীভাবে তিনি সহপাঠীকে হ’ত্যার মতো ঘৃ’ণ্যকা’ণ্ডে তিনি যুক্ত হলেন সেটি নিয়ে হতবিহ্বল তারা।