দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ইউসুফ আলী নামে এক ব্যাক্তি ১৯৭৩ সালে জন্ম নিলেও তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের আন্দোলগ্রাম (সাকোপাড়া) গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। আন্দোগ্রাম দারুল উলুম ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ি ক্বারি শিক্ষক ইউসুফ আলীর দাখিল পাশের সনদ পত্রে জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ৪ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৭৩ সাল।
তার সনদ পত্র থেকে জানা যায়, তিনি বিরামপুর উপজেলার বিজুল দারুল হুদা সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ১৯৮৭ সালে দাখিল পাশ করেছেন। যার রেজিঃ নম্বর-১২৫৬৮, রোল নম্বর-২৩৮৫৬ এবং শিক্ষাবর্ষ ১৯৮৫-৮৬। এরপর তিনি একই মাদ্রাসা থেকে ১৯৮৯ সালে আলিম পাশ করেন। এসব সনদ পত্র দিয়ে তিনি ১ জানুয়ারি ১৯৯১ সালে আন্দোলগ্রাম দারুল উলুম ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এবতেদায়ী ক্বারী শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। যার ইনডেক্স নং-৩৮৪৪৮৫ এবং ব্যাংক হিসাব নং-৬৩৯১/৩৪।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বেতন ভোগ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি স্বেচ্ছায় চাকুরি থেকে ইস্তফা দেন। বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে মাদ্রাসায় খোঁজ নিতে গেলে মাদ্রাসার সুপার আলতাব হোসেন প্রশিক্ষণের জন্য মাদ্রাসার বাইরে থাকায় কথা হয় সহ-সুপার এনামুল হকের সাথে। তিনি জানান মাদ্রাসার এবতেদায়ী ক্বারী শিক্ষক ইউসুফ আলী চাকুরি ইস্তফা দিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তোফাজ্জল হোসেন জানান, তার বিষয়টি শুনেছেন কিন্তু চাকুরি ইস্তফা দিয়েছেন এটা তার জানা নাই।
মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী জানান, সে একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং তার গেজেট রয়েছে। এছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সকল সুবিধাদীও ভোগ করে আসছেন এবং তার ছেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকুরি পেয়েছে। কাগজপত্র অন্য একজন ঠিকঠাক করেছিল তার দ্বারাই ওই জন্ম তারিখের ভুলটি হয়েছে।
উল্লেখ্য, একই মাদ্রাসার নৈশ প্রহরীত আকরাম হোসেনও একজন মুক্তিযোদ্ধা। বেতন তালিকায় তাঁরও জন্ম তারিখ রয়েছে ১ মার্চ ১৯৭৫ সাল। তিনিও সম্প্রতি চাকুরি ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানান মাদ্রাসার সহ-সুপার ইনামুল হক।