গাজীপুর মহানগরের ইটাহাটা এলাকায় বাবার বিরুদ্ধে ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে বুধবার সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত এমারত (৪০) স্থানীয় ইটভাটার শ্রমিক এবং আউয়ালের ছেলে। বুধবার বিকেলে মেয়ের মা (এমারতের স্ত্রী) বাদী হয়ে বাসন থানায় মামলা করেন।
বাসন থানা পুলিশের ওসি এ কে এম কাউসার চৌধুরী মামলার বরাত দিয়ে জানান, বাদী স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। প্রায় ১৮ বছর আগে বাদীর সঙ্গে এমারতের বিয়ে হয়। তারা ইটাহাটা এলাকায় বসবাস করেন। তাদের ঘরে এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। গত ২১ অক্টোবর সোমবার সকাল ৬টার দিকে তার কক্ষে স্বামী এবং পাশের কক্ষে মেয়েকে শাশুড়ির সঙ্গে রেখে বাদী বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান।
কিছুক্ষণ পর শাশুড়িও প্রয়োজনের তাগিদে মেয়েকে ঘরে রেখে বাইরে চলে যান। একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে এমারত মেয়ের ঘরে ঢুকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে বেলা ১২টায় বাসায় ফিরলে মেয়ে ঘটনাটি তার মাকে খুলে বলে। তার মা প্রতিবাদ করলে এমারত তার মেয়ে ও স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়। এসময় ভয়ে মা-মেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করেন। তারপরও কোনো ফল না পেয়ে বুধবার থানায় মামলা দায়ের করেন মেয়েটির মা। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও চূড়ান্ত তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এমারত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওসির কাছে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন। পার্শ্ববর্তী এক বয়ষ্ক লোকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজী না হওয়ায় পুলিশের কাছে মা-মেয়ে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।