বাদামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। প্রতিদিন একমুঠো বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে, তবে সব ধরনের বাদাম আপনার জন্য উপকারী নাও হতে পারে।
১) কাজুবাদাম: ২০১১ সালের এপ্রিলে মেটাবোলিজম জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাজুবাদাম ডায়াবেটিক রোগীদের গ্লুকোজ স্তর পরিচালনা করে। উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে, যাকে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি আপনার প্রতিদিনের ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে।
লবণমুক্ত কাঁচা কাজু বাদাম বেশি কার্যকরী। রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন।
ভালো ফল পেতে গেলে কাঁচা আখরোট খেতে হবে।
৩) পেস্তা বাদাম: পেস্তা বাদামে রয়েছে প্রচুর অ্যানার্জি। এটি প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এতে ফ্যাটও রয়েছে যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণতা দেবে।
২০১৪ সালে রিভিউ অব ডায়াবেটিক স্টাডিজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পেস্তা বাদাম ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনে।
লবণযুক্ত পেস্তা বাদাম এড়িয়ে চলা উচিত। ভালো ফল পেতে আপনি প্রতিদিন ফলের সালাদের সঙ্গে ৩০টি পেস্তা বাদাম খেতে পারেন।
৪) চিনাবাদাম: চিনাবাদাম প্রোটিন ও ফাইবারের একটি বড় উৎস। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি উপকারী। প্রতিদিন চিনাবাদাম খেলে তা কেবল ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে না, হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাবে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রথম পর্যায়ের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।
প্রতিদিন ২৮-৩০টি কাঁচা চিনাবাদাম খেতে পারেন।
৫) হিজলি বাদাম: নিয়মিত হিজলি বাদাম খেলে রক্তচাপ নিচে চলে আসে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এতে অন্যান্য বাদামের তুলনায় চর্বির পরিমাণ কম। এটি খেলে তাছাড়া রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা বা ওজনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।
প্রতিদিন একমুঠ হিজলি বাদাম খেতে পারেন।