চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে এই আদেশ অমান্য করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে ইলিশ ধরার মহোৎসব।
ভোলার মেঘনা-তেতুঁলিয়া নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে চলছে মা-ইলিশ শিকার।
ভোলার রাজাপুরের জেলেদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল সব জেলে না পাওয়ায় ও মহাজন এবং এনজিওর কিস্তির টাকা পরিশোধের চাপে তারা রাতের আঁধারে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে মা-ইলিশ শিকার করতে বাধ্য হচ্ছে।
তারা জানান, অনেক কষ্ট করে রাতের আঁধারে মা-ইলিশ শিকার করে গোপনে বিক্রি করেন। আগের চেয়ে অনেক কম দামে এ ইলিশ বিক্রি করছেন তারা। ৮০০-৯০০ গ্রামের ইলিশ হালি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং এক কেজি বা তার একটু বেশি ওজনের ইলিশের হালি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০-১ হাজার ৩০০ টাকা।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জেলার সাত উপজেলায় এক লাখ ৩২ হাজার জেলের সরকারিভাবে নিবন্ধন রয়েছে। এদের মধ্যে সরকারিভাবে ২০ কেজি করে মা-ইলিশের অভিযানে এ বছর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮৮ হাজার ১১১ জনকে।
ভোলা জেলা মৎস্য অফিসার এসএম আজহারুল ইসলাম জানান, কিছু অসাধু জেলে উচ্চ মুনাফার জন্য নদীতে গিয়ে মা-ইলিশ শিকার করছে। আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, আমরা মা-ইলিশ অভিযান এ বছর সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। এছাড়া এনজিও ও ব্যাংকগুলোতে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন কিস্তি না নেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি। তবে কোনো ব্যাংক বা এনজিও যদি আমাদের নিষেধ অমান্য করে তাহলে আমরা তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।