কাশ্মির সীমান্তে পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে ছোট যুদ্ধের ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। এই যুদ্ধে উভয় দেশের সাধারণ নাগরিক ও সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) ভোররাতে কুপওয়ার টংধর সেক্টরে কয়েক ঘণ্টা ধরে উভয়পক্ষের ওই গোলাগুলি হয়।
গত আগস্টের প্রথমদিকে নয়াদিল্লি জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর এটিই ছিল কাশ্মিরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন।
ভারতের অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মির নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। যার ফলে দুই জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তান বলছে, ভারত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালানোয় তাদের একজন সেনা এবং তিনজন বেসামরিক বা সাধরণ মানুষ নিহত হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া বলেছেন, কোনো প্ররোচণা ছাড়াই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। আমাদের সেনারাও এর শক্ত জবাব দিয়েছে।
পাকিস্তানের সেনা জনসংযোগ বিভাগের ডিজি মেজর জেনারেল অসিফ গফুর টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘ভারতীয় সেনা বিনা প্ররোচনায় অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে জুরা, শাহকোট এবং নওসেরা সেক্টরে সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করেছে। পাক সেনারা এর সমুচিত জবাব দিয়েছে।’
ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, রবিবার ভোরে জঙ্গিদের গতিবিধি নজরে আসতেই তাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় উপ-রাষ্ট্রদূত গৌরব অহলুওয়ালিয়াকে ডেকে পাঠিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট দিল্লি জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে কাশ্মিরকে সেনা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। এ ঘটনার পর থেকে সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বিরাজ করছে।