শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেছেন, সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও দেয়া হবে। বিদ্যমান এমপিও নীতিমালা সংশোধন করা হবে। নীতিমালা কোরআন হাদিস না যে বদলানো যাবেনা। নিশ্চয়ই বদলানো যাবে। কোনো অসঙ্গতি ভুল-ত্রুটি থাকলে বদলানো যাবে।
রোববার রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।
ড. দীপু মনি বলেন, আইন পরিবর্তন করা যায় এমনকি সংবিধান সংশোধন করা যায়। আমাদের সংবিধানেও সংশোধন রয়েছে। সংবিধান সংশোধন করা যায় আইনও করা যায়, নীতমালাও করা যায়। আগের নীতিমালাটা ভালো মনে করা হয় নাই। তাই নতুন নীতিমালাটা করা হয়েছে। নীতিমালতেই আপনারা আপত্তি করছেন। আপত্তি করেই আন্দোলনে গেছেন।
‘আমার আগে যিনি দায়িত্ব ছিলেন তিনি আপনাদের বলেছেন নীতিমালাতো পরিবর্তন করা যায়। তিনিতো ঠিকই বলেছেন। কিন্তু নীতিমালাতো পরিবর্তন হয় নাই। সেসময় আন্দোলন করেছেন। কিন্তু আজকে যেভাবে আলাপ আলোচনা হচ্ছে যদি সেভাবে আলাপ আলোচনাটা হতো হয়তো সেসময়ই পরিবর্তনের একটা সুযোগ থাকতো।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা বলছেন আমি চাকরি নিলাম দুই বছর আগে সেসময় তো নিয়োগ ছিলো। আপনারা যারা চাকির পেয়ে গেছেন তো গেছেনই। সেখানেতো আর নতুন করে চাকরি হওয়ার বিষয় নাই। আমি যখন একটা বেসরকারি শিক্ষককে সরকারিতে আনবো সেখানে তো একটা নীতিমালার ভিত্তিতেই আনবো। আপনারা ঠিকই বলেছেন। প্রতি বছর যদি ২০০-৫০০ প্রতিষ্ঠান এমপিও যদি দিতে পারতাম তাহলে কোনো ঝামেলা হতোনা।
‘এখন বর্তমানে আসলে গতবছর এটা নিয়ে নীতিমালা হয়েছে। নীতিমালা নিয়ে আপত্তি করছেন। সেসময় যদি ব্যাপক একটা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যদি একটা সমাধানে যাওয়া যেতো তাহলে ভালো হতো। যে কারণেই হোক সে উদ্যেগ হয়তো নেওয়া হয়নি।’
দীপু মনি বলেন, এখন ২০১৯ সাল। আমরা দায়িত্ব আসছি। আমরা দায়িত্ব এসে পেলাম এমপিওভুক্তির জন্য নীতিমালা হয়েছে, নীতিমালা অনুযায়ি দরখাস্ত চাওয়া হয়েছে ৯ হাজারের বেশি দরখাস্থ পড়েছে। আপনাদের দেয়া দরখাস্ত, বেনবেইজের তথ্য অনুসারে অনলাইনে দরখাস্তের ভিত্তিতে অনলাইনেই সকল তথ্য নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমেই একটা তালিকা করা হয়ে গেছে। আমি এসে জানুয়ারিতে পেলাম একটা তালিকা প্রস্তুত আছে। তারপর আপনাদের আন্দোলন দেখলাম।
আমি নিজে নীতিমালাটা দেখেছি। আমি মনে করি নীতিমালাটি সংশোধন প্রয়োজন। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি অকপটে বলতে পারি এই নীতিমালাটা পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এই নীতিমালায় গ্রাম এবং শহরের মধ্যে শিক্ষার্থী সংখ্যায়, পরিক্ষার্থীর সংখ্যায় তফাৎ আছে। শহরে বেশি গ্রামাঞ্চলে কম। শহরে আর গ্রামে পাশের হারেতো একটি তফাত আছেই। আমাদের শিক্ষার্থীর হারে তফাত থেকে থাকে। নীতমালা করার আগে পাশের হারের বিষয়ে চিন্তা করা উচিত ছিলো।
‘বর্তমান নীতিমালা করার ক্ষেত্রে আরো ভালো ভাবনা থাকতে পারতো। এখন আমি যে অবস্থা পেলাম এখন আমার কি করণীয়। আমি আইনজীবী হিসাবে আইনের সুবিধাটা যেমন বুঝি আইনের সমস্যাটাও বুঝি। একটা নীতিমালার মাঝখানে গিয়ে সব পরিবর্তন করা যায়না। হলে সেটা মামলা মোকদ্দমায় গড়াবে।’