শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা নিয়ে পরবর্তীতে তা বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদকের মামলায় বর্তমান বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদকে (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে, তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম ৪০৯ ধারায় এ রায় দেন।
এমপি হারুন ছাড়াও পলাতক আসামি এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে (এমডি, চ্যানেল ৯) ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
এ সময় ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমানের আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো গণমাধ্যমকে বলেন, সাংসদ থাকা অবস্থায় শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের মামলায় হারুন অর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এই মামলা হয় ২০০৭ সালে। দণ্ডবিধির ৪০৯ এবং কাস্টমস অ্যাক্ট এর ১৫৬ ধারায় হারুন অর রশিদ, ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান এবং গাড়ি ব্যবসায়ী সাদেককে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, সাংসদ থাকা অবস্থায় শুল্ক মুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় বিএনপির সাংসদ হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ। মামলার বাদী হলেন পুলিশের উপপরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলাটি তদন্ত করে সাংসদ হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন আদালত।