এই মুহূর্তে বিটাউনে সবচেয়ে সফল অভিনেতা রণবীর সিং। শুধু অভিনয় নয়। ব্যতিক্রমী ও চার্মিং ব্যক্তিত্বের মাধ্যমেও কী ভাবে দর্শকদের মুগ্ধ করতে হয় তা-ও জানেন তিনি।
এক বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করতেন রণবীর। তার পরে হঠাৎই অভিনয়ে চলে আসা। প্রথম ছবি ব্যান্ড বাজা বারাত-এই নজর কেড়েছিলেন রণবীর। তার পরে লেডিস ভার্সাস রিকি বেহেল, দিল ধড়কনে দো, রামলীলা একের পরে এক হিট ছবি করে মানুষের মন জিতে নেন তিনি।
অফ স্ক্রিনও যে তিনি একজন হাসিখুশি মিশুকে মানুষ তা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া দেখলেই বোঝা যায়। শুধু তাই নয়। যোগ্য স্বামী হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন রণবীর। কিন্তু শৈশবে কেমন ছিলেন তিনি। এই প্রশ্নটা অনেকেরই।
সম্প্রতি রণবীরের ছোটবেলার এক বন্ধু সিমন খামবাট্টা বাজিরাও-এর ছেলেবেলা কেমন ছিল, তা প্রকাশ্যে আনেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে সিমন বলেন, ছোটবেলা থেকেই জানতাম, রণবীর একদিন বড় তারকা হবে। ছোট বেলা থেকেই ওকে আলাদা করে চেনা যেত। ওর সোয়্যাগই আলাদা ছিল।
বহুদিনের পুরনো বন্ধু সিমন বলেন, রণবীরের এই নানা রঙের অদ্ভুত পোশাক পরে জনসমক্ষে আসা নতুন কোনও বিষয় নয়। ছোটবেলায় নাকি রঙবেরঙের পোশাক পরে গোবিন্দার গান চালিয়ে তার সঙ্গে নাচতেন রণবীর। আর সেই অভ্যেস যে এখনও অভিনেতার রয়ে গিয়েছে, তা তাঁর ভক্তরা ভাল মতোই জানেন।
রণবীর ছোট বেলা থেকেই হাসি খুশি ও সবার সঙ্গে মিশতে পারেন বলে জানান সিমন। নিজের ফ্ল্যামবয়েন্ট ব্যক্তিত্বের দ্বারা যে তিনি সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন রণবীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই বোঝা যায়, সেন্স অফ হিউমারেও এগিয়ে রণবীর।
২০১৮-র নভেম্বরে দীপিকা পাডুকোনকে বিয়ে করেছেন রণবীর। আর সম্পর্কে যে বন্ধুত্ব সবচেয়ে প্রয়োজনীয় তা-ও জানেন রণবীর। তাই দীপিকার সঙ্গেও খুনশুটি করতেই থাকেন তিনি। দীপিকার ছবিতে রণবীরের মজার কমেন্টে মুগ্ধ হন তাঁদের ভক্তরাও।