ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, বিগত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীসহ আমিও বিজয়ী হয়ে এমপি হয়েছি। এরপরও আমি সাক্ষী বিগত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। বিগত জাতীয়, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ। মেনন প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন, কেন দেশের মানুষ বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোট দিতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি-আমি মিলে যে ভোটের জন্য লড়াই করেছি, মনোনয়ন জমা দেয়ার পরও আজিজ কমিশনকে ঘেরাও করেছি, আমরা ১ কোটি ১০ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকা ছিঁড়ে ফেলে নির্বাচন বর্জন করেছি- তা এ নির্বাচনের জন্য নয়।
শনিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলে ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন মানে গণতন্ত্র হরণ নয়, উন্নয়ন মানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ নয়। আজ দেশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতনা কেড়ে নিয়েছে সরকার। তাই মুখ খুলে কেউ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছে না।
সাবেক মন্ত্রী মেনন বলেন, ক্যাসিনো মালিকদের ধরা হচ্ছে, দুর্নীতিবাজদের ধরা হচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতির আসল জায়গাগুলোতে হাত দেয়া হয়নি। তারা নির্বিঘ্নেই রয়েছে। সেই দুর্নীতিবাজদের বিচার কবে হবে, তাদের সাজা কবে হবে, তাদের সম্পদ কবে বাজেয়াপ্ত হবে প্রশ্ন রাখেন মেনন।
জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি নজরুল হক নিলুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন কমরেড আনিছুর রহমান মল্লিক।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক সাবেক এমপি টিপু সুলতান, মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শান্তি দাস, জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বিশ্বজিৎ বাড়ৈ, ফাইজুল হক বালী ফারাইন, জেলা গণফোরাম সভাপতি হিরন কুমার দাস মিটু, সিপিবি’র প্রবীণ নেতা আব্দুল মন্নান, কমরেড ফারহিন, সিমা রানী শীল প্রমুখ।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে জেলা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন। পরে লাল পতাকা নিয়ে নগরীতে র্যালি বের করা হয়। দুপুরের পর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়।