জানা গেছে, মতিঝিল এলাকায় এমপি রাশেদ খান মেননের অনুমতি নিয়েই ক্যাসিনো ব্যবসা চালাতো খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। প্রতিমাসে তাকে চার লাখ করে টাকা দেয়া হত।
সম্রাটের কাছ থেকেও টাকা নিতেন তিনি। প্রতি মাসে প্রাপ্ত টাকার অঙ্ক বাড়াতে মেনন একাধিকবার ডেকে চাপও দিয়েছেন। রিমান্ডে ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের ব্যাপারে এমন তথ্যই দিয়েছেন বহিষ্কৃত যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
এ ব্যাপারে রাশেদ খান মেনন জানান, তিনি এসব ক্যাসিনোর ব্যাপারে কিছ্যি জানতেননা। কেউ যদি তার নাম বলে থাকে তাহলে তারাই এটা প্রমাণ করুক। এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘ পুলিশ কমিশনার ক্যাসিনোর কথা জানতেন না আর আমি কীভাবে জানব?
এদিকে ইয়ংমেনস ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্নিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
২০১৬ সালের ১৯ জুন ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের ৩১ সদস্যের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। এতে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে সভাপতি ও হাজি মো. সাব্বির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
ফকিরাপুলের এই ক্লাবটির প্যাভিলিয়নে কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় ওই নতুন কমিটি অনুমোদনের পাশাপাশি তৎকালীন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।
যুবলীগ নেতা খালেদের সঙ্গে ওই ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে ফিতা কাটতে তাকে দেখা গেছে। সূত্র জানায়, ক্যাসিনোর ঘটনায় মেনন ছাড়া আরও কয়েকজন ফেঁসে যেতে পারেন।
এরই মধ্যে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে আরও অনেক রাঘববোয়ালের নাম আসছে। আরও একাধিক কাউন্সিলর ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার হতে পারেন। তদন্তে যাদের ব্যাপারে অভিযোগ উঠেছে, তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সূত্র জানায়, ক্যাসিনোকাণ্ডে ফেঁসে যেতে পারেন মেনন- এমন আভাস পেয়েই গতকাল বরিশালে একটি অনুষ্ঠানে জাতীয় নির্বাচন, অর্থ পাচারসহ নানা ব্যাপারে মন্তব্য করেন তিনি।