Home > বিশেষ সংবাদ > সম্রাটের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিতেন মেনন!

সম্রাটের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিতেন মেনন!

ক্যাসিনো থেকে প্রতি মাসে নিয়মিত মাসোহারা না পেলে অকথ্য ভাষায় যুবলীগের নেতাদের গালিগালাজ করতেন সাবেক মন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের।

জুয়ার টাকায় তিনি ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণসহ বিলাসী জীবনযাপন শুরু করেন বর্ষীয়ান এই বামপন্থী নেতা।

ইয়ংমেনস ক্লাব থেকে র‌্যাবের উদ্ধার করা চাঁদাবাজির খাতায় মেননের নাম রয়েছে ৫নং সিরিয়ালে। প্রতি মাসে সম্রাটের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিতেন তিনি।
র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ওরফে ক্যাসিনো সম্রাট এসব তথ্য দিয়েছেন।

এছাড়া রাজনৈতিক নেতা নামধারী অনেকেই সম্রাটের দফতরে হাজির হতেন জুয়ার টাকার ভাগ নিতে। প্রতি মাসে ব্যাগভর্তি করে জুয়ার টাকা নিয়ে তারা বেরিয়ে যেতেন।

সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজেও এর প্রমাণ রয়েছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন নেতা ছাড়াও টাকার ভাগ পেতেন পল্টন, মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকার প্রভাবশালীরা।

সূত্র জানায়, রাশেদ খান মেননের শেল্টারেই ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো গড়ে ওঠে। ইয়ংম্যানস ক্লাবের ক্যাসিনো পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আরেক বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমদু ভূঁইয়া।

জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট জানিয়েছেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসী থেকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে যুবলীগের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন রাশেদ খান মেনন। খালেদকে আরও বড় পদ-পদবি দেয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলে তদবির করেন।

মেননের আশ্রয় পেয়ে রাজধানীর বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন খালেদ। রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে খালেদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।

এই কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে উন্নয়ন কাজ ও শিক্ষার্থী ভর্তিতে বিপুল অংকের টাকা লেনদেন হয়। খালেদের মাধ্যমে এই টাকার একটি বড় অংশ চলে যেত রাশেদ খান মেননের পকেটে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকাকালেও মেননের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। নামকরা দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন ও আইডিয়াল কলেজে ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন রাশেদ খান মেনন ও তার সহযোগীরা।