তাওবার মাধ্যমে কল্যাণ লাভ হয়। মানুষের বিগত জীবনের সব গোনাহ মাফ হয়ে যায়। তাওবার মাধ্যমেই মানুষ আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে সক্ষম হয়।
মানুষ যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, যদি সে চূড়ান্ত তাওবা করে তবে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন। তবে গোনাহ যদি বান্দার কোনো হক বা অধিকারের সঙ্গে জড়িত হয় তবে সে গোনাহ মাফের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছেই ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
আল্লাহর কাছে চূড়ান্ত তাওবা করার পর আল্লাহ তাআলা বান্দার হক ছাড়া মানুষের সব গোনাহ মাফ করে দেন। গোনাহ মাফের পর বান্দা আল্লাহর কাছে কী চাইবেন? আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে চূড়ান্ত ক্ষমার ব্যাপাবে দিক-নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি বান্দাকে দোয়াও শিখিয়ে দিয়েছেন। আর তাহলো-
رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা আতমিম লানা নুরানা ওয়াগফিরলানা ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িং ক্বাদির।’ (সুরা তাহরিম : আয়াত ৮)
অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান।’
আল্লাহ তাআলা চূড়ান্ত তাওবার নির্দেশ দিয়ে বলেন-
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা কর; আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার নিচে নদী প্রবাহমান। সেদিন আল্লাহ তাআলা নবি এবং তাঁর বিশ্বাসী সহচরদেরকে অপদস্থ করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানদিকে ছুটোছুটি করবে। তারা বলবে- ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান।’ (সুরা তাহরিম : আয়াত ৮)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে চূড়ান্ত তাওবা করার তাওফিক দান করুন। এ তাওবার মাধ্যমে দুনিয়ার সব পাপ থেকে নিজেদের মুক্ত করার তাওফিক দান করুন। তাওবার পর আল্লাহর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে তার কাছে পরিপূর্ণ হেদায়েতের নূর তালাশ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।