বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল-মডেল। কবিতায় কুঁড়েঘর আছে, বাস্তবে নেই। খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। সন্ধ্যায় একমুঠো বাসি ভাত আর কেউ চায় না। আকাশ থেকে হাতিরঝিল দেখলে মনে হয় ইউরোপের কোনো শহরে এসেছি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে তামাকজাত দ্রব্যপণ্য ব্যবহার রোধে আয়োজিত ‘ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট ও বাংলাদেশ : বর্তমান প্রেক্ষাপটে করণীয়’ গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত জাতি গঠনে জাতির স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর স্বাস্থ্যরক্ষায় তামাক ও তামাকজাত পণ্য বর্জনের বিকল্প নেই। ই-সিগারেট চাতুরতার সাথে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের কারণে তরুণ প্রজন্ম এর শিকার হবার সম্ভাবনা বেশি, যা জাতির জন্য সমূহ ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারি এমপি।
হাছান আরো বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ই_সিগারেট নিষিদ্ধ করেছে। এদেশে এটি বন্ধের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করা হবে। প্রদর্শিত উপাত্ত অনুযায়ী ২০১৭ সালে দেশে ই-সিগারেট ব্যবহারীর সংখ্যা ২ লাখ ছিলো, যা এখনো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’
জনসচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা এক্ষেত্রে বেশি কার্যকর হবে বলে মত প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
এই ভৌত উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের মানবিকভাবে উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে হবে, উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এজন্য প্রয়োজন মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের বিকাশ। দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসলেই সঠিক পথে এগুনো সম্ভব।
অন্যান্যের মধ্যে আয়োজক সংস্থা ইউনাইটেড ফোরাম এগেইনস্ট টোব্যাকো’র মহাসচিব ডাঃ মো. সিরাজুল ইসলাম, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী, এপিডেমিওলজি এন্ড রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।