Home > শিক্ষা > বশেমুরবিপ্রবিতে ইউজিসি কমিটির তদন্ত শেষ

বশেমুরবিপ্রবিতে ইউজিসি কমিটির তদন্ত শেষ

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অচলাবস্থা ও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত দল তদন্ত কাজ শেষ করেছেন।

অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তদন্ত কাজ শেষ করে তারা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

এরআগে, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ড. মো. আলমগীরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত দল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন-ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগম প্রমুখ।

তদন্ত কমিটি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বহিরাগতদের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের লিখিত বক্তব্য নেন। তদন্ত দলের কাছে আন্দোলনগত শিক্ষার্থীরা ভিসির বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণসহ একটি স্মারকলিপিও দেন।

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা তুজ জিনিয়া বলেন, তদন্ত কমিটি আমাকে ডেকেছিলেন। তারা আমার কথা শুনেছেন ও লিখিত বক্তব্য নিয়েছেন। তদন্ত কমিটির ওপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।

ইউজিসি তদন্ত দলের সদস্য ড. দিল আফরোজা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে তদন্ত কাজ শেষ করেছি। ভিসির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারে আমরা ছাত্র-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের কথা শুনেছি, তাদের লিখিত বক্তব্য নিয়েছি।

আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ইউজিসি কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান  ড. মো. আলমগীর বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসে, সেজন্য আমরা সুপারিশ করবো এবং আর কোনো শিক্ষার্থী যাতে আহতের ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারেও সুপারিশ করবো।

ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা তদন্তের প্রয়োজনে বিভিন্নজনের বক্তব্য নিয়েছি।ঢাকায় ফিরে তা প্রতিবেদন আকারে ইউজিসি চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে জমা দেওয়া হবে। তিনি-ই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. আব্দুর রহিম খান। রেজিস্টারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার সুপারিশ করেছি।