কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের কারণে গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মালয়েশিয়া ভারত সরকারের প্রবল বিরোধিতা করায় ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি এবার জবাব দিতে চাইছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক হ্রাস এমনকি প্রয়োজনে ছিন্ন করার কথাও ভাবছে মোদি সরকার।
এছাড়া ভারতের বিতর্কিত ইসলামি বক্তা জাকির নায়েককে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়া কিছুই করছে না বলে গত কয়েক মাস ধরে চাপা ক্ষোভ চলছে ভারতে। আর এর মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে মালয়েশিয়ার বিরোধী অবস্থানের কারণে সেই ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
পাম তেল উৎপাদনে বিশ্বের প্রথম সারির দেশ মালয়েশিয়া। বিশ্বে মালয়েশিয়ার পাম তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভারত। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত দেশটি থেকে ২০০ কোটি ডলার মূল্যের প্রায় ৪০ লাখ টন পাম তেল আমদানি করেছে।
কাশ্মীর ইস্যুতে বিরোধী অবস্থানের কারণে এবার মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল আমদানির পরিমাণ কমিয়ে দেয়ার কথা ভাবছে মোদি সরকার। সরকারি সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, মালয়েশিয়ার বদলে ইন্দোনেশিয়া থেকে সহজেই পাম তেল আমদানি করতে পারে ভারত।
গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভারত-মালয়েশিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারতের ঘাটতি ছিল ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। মালয়েশিয়ায় রফতানির তুলনায় দেশটি থেকে আমদানি বেশি করে ভারত। এবার এই বাণিজ্য ঘাটতি পূরণে চিন্তা করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লির আরও ক্ষোভের কারণ, দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য সক্রিয় ছিল ভারত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ২০১০ সালে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত চুক্তি করেছিলেন। তবে এবার সব নিয়ে পুনরায় ভাবছে ভারত।