Home > জাতীয় > সারাদেশ > পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে করতে এসে গৃহবধূর সর্বনাশ

পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে করতে এসে গৃহবধূর সর্বনাশ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে অচেতন অবস্থায় শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত পরকীয়া প্রেমিক সাইফুল ইসলাম (২৪) উপজেলার ছোট ভেটখালি গ্রামের বক্কার চৌকিদারের ছেলে। নির্যাতিতার (২৪) বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নে।

জানা গেছে, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার এক সন্তানের জনক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে গৃহবধূর। প্রেমিক সাইফুলকে বিয়ে করার আশায় গত বুধবার গৃহবধূ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলাবাড়ি এলাকা থেকে চলে আসেন শ্যামনগর উপজেলায়।

পরে সাইফুল তার এক বন্ধুর বাড়িতে রাখেন ওই গৃহবধূকে। সেখানে রেখে দুইদিন ধর্ষণ করে সাইফুল ও তার বন্ধু মেহেদী।

শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য সেলিনা সাঈদ বলেন, অচেতন অবস্থায় গৃহবধূকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্যামনগর আসবেন বলে জানিয়েছেন।

শ্যামনগর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এখনও কেউ অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর সরদার মোবাইলে কথা বলেন গৃহবধূর পরিবারের সঙ্গে।

এসময় গৃহবধূর স্বামী জানান, আমার স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছি না। শিশু সন্তানটি তার মাকে না পেয়ে কান্নাকাটি করছে।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর সরদার জানান, গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা না এলে এর থেকে বিস্তারিত কিছু বলতে পারবো না।

এদিকে সাইফুল ইসলাম বলেন, মোবাইলের মাধ্যমে গৃহবধূকে শ্যামনগরে ডেকেছিলাম। তাকে নিয়ে আমার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে রাত্রীযাপন করেছি। এটুকু বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।