আবারো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নীতিমালা পরিবর্তন হচ্ছে। এখন থেকে প্রাথমিক শিক্ষক বদলিতে নম্বর মূল্যায়ন করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলি নীতিমালা সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাদলকে আহ্বায়ক করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ চারজনকে সদস্য করা হয়েছে।
জানা গেছে, বদলি কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করতে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বছরে শুধুমাত্র জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত- এ তিন মাস নয়, সারা বছরই শিক্ষক বদলি করা যাবে। শিক্ষক বদলির জন্য একজন শিক্ষকের জ্যেষ্ঠতা, ইনোভেশন (উদ্ভাবনী দক্ষতা), শ্রেষ্ঠ পুরস্কারসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১০০ নম্বর নির্ধারণ করা হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে সফটওয়্যারে একটি আবদেনপত্র দেয়া হবে। সেখানে আবেদকারীর বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তা পূরণ করতে হবে। বদলিপ্রত্যাশীরা এসব তথ্য যুক্ত করলে অটোমেটিক তার প্রাপ্ত নম্বর যোগ হয়ে যাবে। এক আসনে একাধিক আবেদনকারী থাকলে যার প্রাপ্ত নম্বর বেশি হবে তিনি বদলির জন্য মনোনীত হবেন। এছাড়া আবেদন ফরমে শিক্ষকরা বদলির জন্য জেলা-উপজেলার একাধিক বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবেন।
এ বিষয়ে কমিটির প্রধান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) বদরুল হাসান বাদল বলেন, অনলাইনভিত্তিক শিক্ষক বদলি কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য শিক্ষক বদলি নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে। সেখানে বদলি নীতিমালা পরিবর্তনের বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে নম্বর যুক্ত করা হতে পারে। আবেদকারীর জ্যেষ্ঠতা, উদ্ভাবনী দক্ষতা, অর্জন এবং তার পাঠদানের কৌশল ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ওপর নির্ণয় করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে নম্বর যুক্ত করা হবে। এটি ১০০ নম্বর হতে পারে। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সফটওয়্যারের মাধ্যমে আবেদনকারীর নম্বর মূল্যায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পছন্দের স্থানে বদলি হতে পারবেন।
বদরুল হাসান বাদল বলেন, কেউ যদি ঢাকা মহানগরীতে বদলি হতে চান তাহলে তিনি আবেদন করবেন। নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যিনি বেশি নম্বর পাবেন তাকে বদলি করা হবে। তবে সকল মূল্যায়নে যদি সমান সমান নম্বর পান সেক্ষেত্রে যিনি আগে আবেদন করবেন তাকে বদলির জন্য মনোনীত করা হবে।
তিনি বলেন, নীতিমালা সংশোধনের কাজ শেষপর্যায়ে, সফটওয়্যার তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। এতে কী কী বিষয় যুক্ত করা হবে সেসব বিষয় নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে, আরও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বদলির জন্য যেসব বিষয় প্রয়োজনীয়, সেসব বিষয় সফটওয়্যারের মধ্যে যুক্ত করা হবে।
আগামী বছর থেকে অনলাইনে শিক্ষক বদলির কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে তারা এ কার্যক্রম শুরু করেছেন বলেও জানান বদরুল হাসান বাদল